আচ্ছা আপনি কি ভাল মানুষ?জানি ভাল না ।পৃথিবীতে কেউ ভাল নাই ,সব খানে এখন খারাপ মানুষে গিজ গিজ করছে ।আপনি যেমন খারাপ আমিও তেমনি খারাপ ।সবাই খারাপ ,সবাই ।আমার এক বন্ধুর এক্স গার্লফ্রেন্ডের কথা বলি ।ধরি আমার বন্ধুটির নাম 'ক'।'ক' বন্ধুর সাথে দির্ঘ্য এক বছরের বেশি সময় মেয়েটা কঠিনহারে প্রেম করে ।একদিন আমরা জানতে পারি তাদের মাঝে ঝামেলা চলছে ,সমস্যা মেয়েটার ,সে গোপনে নতুন একছেলের সাথে রিলেশন করে প্রেমের রেলগাড়ি চাল্লাচ্ছে ।এটা নিয়ে ম্যালা কাজিয়া যুদ্ধ শেষেমেয়েটা ঐ ছেলের সাথেই রিলেশন কন্টিনিউ রাখে ।আমার ক বন্ধুটা কিছুদিন চেষ্টা চরিত্র করে কিছু না করতে পেরে কয়েকমাসের জন্য আধুনিক দেবদাশ বনে যায় । তার মুখে তখন একটাই ডাইলগ "এক এক টা মেয়ে হচ্ছে এক এক টা মা... ,তারা সবাই মা... ,তারা বে...,তাদের যত পারো ইউজ কর ।আমি ইউজ করতে পারি নাই তাই আমি ..... "কয়েক মাস পর নতুন এক মেয়ে তার জীবনে এসে সবকিছু পাল্টে দিলো ।সে স্বাভাবিক হয়ে যায় ।এখন আপনার কাছে প্রশ্ন এখানে কে খারাপ কে ভাল?আপনি ততক্ষণে উত্তর খুঁজুন আর আমি গল্পটার পরের অংশ বলি ।এরপর আরও কয়েক মাস পার হয়ে যায় ,এর মধ্যে আমার ক বন্ধুর জীবনে যে নতুন মেয়েটা এসেছে সেও একই কাহিনী দাঁড় করায় নতুন আর এক ছেলের সাথে মাখামাখি ।ক বন্ধুটির মুখে আবার শুনতেপাই সেই একি ডাইলগগুলো ।এবার সে হাল ছেড়ে না দিয়েভালভাবে হাল ধরে ,ফলাফল নতুন মেয়েটা ফিরে আসে তবে সম্পর্কটা কৃত্রিম হয়ে যায় ।আমি আসলে বন্ধুর এক্স গার্লফ্রেন্ডের কথা বলব বলে শুরু করেছিলাম তাই বন্ধুটির কথা বাদ দিয়ে ওই মেয়েটার কথায় ফিরে আসি ।ইতিমধ্যে বন্ধুর এক্সগার্লফ্রেন্ ড আরও নতুন দু তিন জনের সাথেপ্রেমের বসন্ত পার করে ফেলেছে তবে শেষজন ভাল রকম শিক্ষা দিয়ে গেছে ।ল্যাপটপ কিনে দেবে বলে অন্য এলাকায় নিয়ে নিজে কাজ সেরেছে (ইহাকে রেপ বলবনা কারণ মেয়েটার সম্মতি ছিল এতে ) পরে এলাকার ক্যাডারদের কানে গেলে নাট্যমঞ্চ থেকে নায়িকাকে ছেড়ে নায়কের পলায়ন এবং ধৃত নায়িকার কপালে জুটল গণহারে রেপ ।কি রেপের কথা শুনে আপনার গায়ে ছ্যাকা লাগে নাই ? এখন বলুন কে বেশি খারাপ মেয়েটা যে ল্যাপটপের লোভে পড়ল নাকি ঐ পালিয়ে যাওয়া ছেলেটা বা ওই ছেলেগুলো যারা রেপ করল ।একটু ভাবুন ,সাদা চোখে ভাবুন কার বেশি দোষ ,কে বেশি খারাপ ।আর একটু বলা বাকি আছে যে ছেলেটা পালিয়ে গেল তাকে নিয়ে ।আপনি শুনে অবাক হতে পারেন এই কাহিনীতে ক্যাডার বাহিনী আসার আগ পর্যন্ত ছেলেটা যা কিছু করেছে সব আগে থেকে প্লান করে করা ,আর প্লানটা কে করেছে জানেন ?আমার সেই বন্ধুটি সেই এক ছেলেকে ম্যানেজ করে শোধ তুলতে এত কিছু ঘটিয়েছে ।তাহলে এবারখারাপিতে কে এগিয়ে থাকল?
(এটাকে বাস্তব হিসেবে নিলে বাস্তব ,গল্প হিসেবে নিলে গল্প ,আর কারো মনের মাধুরী মেশানো কল্পণা ভাবলে কল্পণা ,পুরোটুকু আপনার উপর ছেড়ে দিলাম । )
সবশেষে আমার একটা নারীবিষয়ক কবিতা দেই ।যদিও উপরের সাথে কোন মিল নেই ।
একটি নারী দেহ চাই,
না কোন অশ্লীলতার জন্য নয়,
না কোন আচড় কাটার জন্যও নয়,
আচড় কেটে দেখেতো বোরখার তলের নারীরা-
ওনাদের রক্ত নিয়া নাকি কিসব কারবারি আছে?তাদেরকেই দেব ।
আমি দেখেছি-
মশার রক্ত লাল হয়।
কিন্তু রক্তটা কি মশার ?
জানি অন্যকারও
একটা জীবিত নারীর মনের সাথে কি এর মিল আছে?
একটু সমাজ কেটে দেখতে চাই-
কতজন নারীর নিজের হৃদপিন্ড আছে বলে অংহকার আছে !
নাকি মশার মতই অন্য কারো রক্ত দিয়ে চলার মানসিকতা ।
আমি পেপারে পড়েছি-
আজকাল মাংস নাকি হয়েছে পার্টি সেলিব্রেটিং এর বস্ত্র !
আমি কোন দেহ চাই না-
আমি কোন মন চাই না-
আমি কোন ঘর চাই না -
আমি চাই হৃতপিন্ডযুক্ত একটি নারী দেহ যেটি শতআঘাতেও ডিপডিপ করবে
আবার গর্জে উঠবে কালরাত্রির ঝড়ের মত
ফেরত দেবে ঠিক শতআঘাতের ফুল্কি ।
মানুষের মেয়ে সম্প্রদায়
তুমি শাড়ি পড় অথবা সালোয়ার কামিজ-
যাই পড়না কেন তোমার মেহেদী নকশার কর্মঠ হাতে-
ঐ বিশ্রী শিকল পড়তে হবে না ,
শুধু একটাই কাজ-
যাদের খারাপ পুরুষ বলে তেলাপোকার সাথে তুলনা কর-
সেই তেলাপোকাকে যেভাবে হোক কবুতর বানাতে হবে ।
নিজেত্ব নিয়ে এগিয়ে যাও
দেখবে পথে যেতে যেতে কত কবুতর আকাশে উড়ছে
তুমি মানব রক্তে ভয় পাও-
এমন ভয় পেলে
তোমার যে ছোট মেয়েটা দিন দিন বড় হচ্ছে
সেও পৌরষত্বের নামে শোষিত হবেই-
তাদের টিকটিকি অথবা তেলাপোকা বলে গালাগালি করে কি ফায়দা বল
তাই কর বজ্র কঠিন কল্পণা
দাও ছড়িয়ে সবখানে
তুমি তখন তোমার নাতনির কাছে গর্ব করে বলবে
"ঐ যে দেখছ ঝাকে ঝাকে কবুতর-
ওদের কয়েকটাকে আমি উড়াতে শিখিয়েছিলাম ।"
Comments
Post a Comment