Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2015

ঘর পালানো (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

তখন বয়স কত হবে ঠিক মনে নেই। আট নয় বছর হতে পারে। সে সময় আমি আর মা ভাড়া বাড়িতে থাকি। আমার একটা ছোট বাচ্চাদের রিকসা ছিল । তখন রিকসা চালানোর বয়স শেষ, তবু যক্ষের ধনের মত রিকসা আগলে রাখি। কেউ চালালে হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাই। সাথে সাথে তাকে নামিয়ে রিকসায় উঠে বসে থাকি। চালাতে গেলে হাটু হ্যান্ডেলে লাগে,দেখতে বেখাপ্পা লাগে, তবু বসে থাকি। ঘটনা ঘটল যেদিন বাড়ি ওয়ালার নাতনি আমার স্থাবর সম্পত্তি রিকসাটা নিয়ে টানাটানি শুরু করল। নাতনির বয়স হবে চার বা পাঁচ বছর। আমি ক্রিকেট বাইরে খেলতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা নামলে বাসায় ফিরে দেখি আমার রিকসা নিয়ে তাতে বসে আছে মেয়েটা। মাথায় শর্ট সার্কিট হয়ে গেল। রিকসা থেকে ওকে নামতে বলি, মেয়ে নামে না। উল্টা ঘড়ঘড় শব্দ করে ওদের বারান্দায় চালাতে লাগল। সহ্য ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেল। আমি পাজকোলা করে ধরে জোর করে রিকসায় নামিয়ে রিকসা দখল করলাম।  ঠিক তখন বোমা ফাটার শব্দের মত শব্দ করে মেয়ে কাঁদতে শুরু করে দিল। আমি ভ্রুক্ষেপ না করে ঘড়ঘড় শব্দ করে ওর নাকের সামনে দিয়ে রিকসা চালিয়ে যেতে লাগলাম। আহা কি শান্তি! ঠিক তখন বাড়ি ওয়ালী যাকে আমিও নানী বলে ডাকি

লালপরীর গল্প (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

তোমাকে একটা গল্প শোনাই,  লালপরীর গল্প।  লাল পরীর নেই জোড়া ডানা,নেই পিসতুত কোন মাসী  তার কানের দুলের দোলায় চেপে তার কাছে আমি আসি  রোদ ঝলমলে দুপুরের মত ঝলমলে তার হাসি  গালের মাঝে ছোট্ট তিলে কি যেন আছে রাশিরাশি  তার কথাবলা, তার হাটাচলা দেখতাম চেয়ে বসি  মন বলে এই, প্রাণ বলে এই, কেমনে পোষ মানে এই পাখি?  ঝটপট করে চোখ সরু করা কি যে এক চাহনী  আনমনা হলে তাকে আরো ভাল,লাগত তখনি  চেয়ে থাকতাম বিষ্ময় নিয়ে, রাগত যখনি  তার মলিনতায় অভিশাপ দিতাম-কেন নিষ্ঠুর তুমি ধরনী?  সবচেয়ে ভাল, মৌন মধুর ছিল এই লাল পরী  তার রুপের কাছে নস্যি ঠেকত নীল, সাদা সব পরী  এত রুপের পরেও অপরূপ হত, পড়ত যখন শাড়ি  অপরূপ সেই পরীর জন্য জোছনাটা বাজি ধরি  জোছনা কেন, সেতো অতি তুচ্ছ, চাঁদ তারা সব জড় করি  পায়ে ফেললেও হবে না বাজি, হিসেব নয় টাকা কড়ির  আমি গরীব, নেই কিছু দেয়ার মত  কি দেই, কি দেই, পাই নাকো খুজে  যা দিলে আমি তাকে পাবো বুঝে  খুজে চলি শতশত  কি জানি কি করে বুঝে যায় ভাষা  মেনে নেয় সে এই ভালবাসা  গোটা পৃথিবী এই হাতে চলে আসা  এক শনিবারে লাল জামা পড়ে  শত সমস্যা সে পায়ে ঠেলে  হুট করে তার আমার কাছে আসা 

উপমাবিহীন গল্প (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন "এই খাতাটা তোর? " পেছনে ইউনিভার্সিটি খাতার সবুজ মলাট। অতএব আমার খাতা। যা ভেবেছিলাম তাই সাদেক, বজলু, আশরাফুল, লিমা সহ ক্লাশের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে। ভেবেছিলাম প্রতিবারের মত এবারও হয়ত কোনরকম বেঁচে যাব কিন্তু হল না। ক্লাশ পরীক্ষায় সব থেকে কম নম্বর পেয়েছি তাই সবার শেষে আমার খাতাটা স্যার হাতে নিয়েছেন। স্যারকে কিছু না বলে উঠে দাঁড়িয়ে মাথা হেট করে রাখলাম। স্যার হুংকার দিয়ে উঠলেন, কিরে গাঁধার বাচ্চা কথা বলিস না কেন?, খাতাটা তোর না? আমি আরো একটু মাথাটা নামানোর চেষ্টা করলাম। কাজ হল না। সর্বোচ্চ মাথা হেট হয়েছে,আমার থুতনি জামার সাথে লেপ্টে আছে আর নিচে নামবে না। ইস আর কতক্ষণ আছে ক্লাশের, ঘন্টা পড়ে না কেন! ওই গাঁধার বাচ্চা মাথা তোল। বিশের মধ্যে তিন! ক্লাশ ওয়ানের বাচ্চাও তো পরীক্ষা দিলে পাঁচ-ছয় পাইতো। ক্লাশ ফোরে উঠছিস কিভাবে! লজ্জা করে না মানুষকে ক্লাশ ফোরে পড়ি বলতে। আমিতো জীবনে অনেক গাঁধা দেখছি, পড়াইছি কিন্তু তোদের মত এত বড় গাঁধা এই প্রথম। স্যার খাতাটা বাইরে ছুড়ে মারলেন। ক্লাশ পুরোপুরি নীরব, ইংরেজিতে যাকে বলে

মূল্য (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

একটা মেয়ের হাসি, তার চোখের পলক, তার চুড়ির শব্দ, শাড়িতে সৌন্দর্য, তার স্পর্ষ, তাকে একবার দেখতে পাওয়া, তার কন্ঠস্বর, রাগের সময় মুখোভঙ্গি, তার কান্না, তার চলার পথের বালুকণা, তার অভিমান, তার সব কিছুর মূল্য সেই মেয়ে কোন দিনই বুঝতে পারে না। তার মূল্য বোঝে শুধু তার প্রেমিক। এর মূল্য এতটাই যে রাজা রাজ্য ছেড়ে দেয়, ভাল ছাত্রটি চোখ মুছতে মুছতে কবিতা লিখতে শুরু করে, আটপৌড়ে স্বামীটি সংসার ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়, পাড়ার মোড়ে গোলাপ হাতে নির্লজ্জের মত ছেলেটা দাঁড়াতে পারে, মা বাবা পরিবারের থেকে আলাদা জগতে চলে যায় কোন ছেলে আর শরৎচন্দ্র দেবদাস লিখে ফেলে, কেউ কেউ নিজের জীবনটাই দিয়ে দেয় এর মূল্য বোঝাতে।

পড়াশোনার জানাজানি (গল্প) (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

অনেক অনেক দিন আগে এক দেশ ছিল।দেশটার ছাত্ররা পরীক্ষার আগে স্যারদের কাছ থেকে প্রশ্ন দাগিয়ে নিত। নোট বিক্রি হত। নোটে লেখা থাকত ১০০% কমন। আশ্চর্য জনক ভাবে নোটে যেগুলো থাকত,স্যারেরা বইয়ের যে প্রশ্নগুলো দাগিয়ে দিত সেগুলোর বেশির ভাগই পরীক্ষায় চলে আসত।  একদিন এক বোকা ছাত্র একবার না বুঝে বলে বসল স্যার আমরা তো পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছি!? স্যার বেত মেরে ছাত্রটাকে আগে শায়েস্তা করল, তারপর রাগ থামলে বলল বদমাইস পুলা, তুমি পড়াশোনার কি জানো? এইটাই পড়ার নিয়ম।সেদিন সেই ছাত্রটি চুপ মেরে গেল। আর কিছু বলে নি। সেও সবার মত কয়েকটা দাগানো প্রশ্ন মুখস্ত করে পরীক্ষা দিয়ে ফাস্ট ডিভিসন পেয়ে গেল। সেই ছেলেটি একসময় বড় হল এবং ভাল চাকরি পেয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করে দিল। তার ছেলে বড় হল । কিন্তু ততদিনে সেই দাগানো প্রশ্নের দিন শেষ, এসেছে সৃজনশীল প্রশ্নের যুগ।কিন্তু তিনি অবাক হয়ে দেখলেন, তার সময়ের মত এখনও বই দাগিয়ে দিচ্ছে স্যারেরা। তার ছেলেকে প্রতিটা বিষয়ে আলাদা আলাদা করে মোটা মোটা নোট কিনে দিতে হচ্ছে, তারপর আলাদা করে নৈবিত্তিক প্রশ্নের নোটও কিনে দিতে হচ্ছে! তারউপর কলেজ শেষে কোচিং,কোচিং শেষে প্রাইভেট, প্রাই

বাসের এক শেষ যাত্রা (গল্প) (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

বাসে ওঠার সময় বাসের হেল্পার হেলালকে সিট আছে বলেই উঠিয়েছিল। মোটামুটি আধা ঘন্টার বাস জার্নি। টিকিট কাটলে অবশ্য এমনিতেই সিট পেত। বাসের টিকিট কাটার ব্যবস্থা থাকলেও টিকিটে খরচ বেশি হয়, হেলাল তাই টিকিট কাটে না। বাসের হেল্পারের কাছে কিছু টাকা গছিয়ে দেয়। লোকাল সার্ভিস তাই সিট নিয়ে তেমন ঝামেলা লাগে না। বেশির ভাগ সময় ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। কেউ নেমে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলোর মাঝে বেশি দূরত্বে যাওয়া লোকটিকে হেল্পার সেই সিটে বসিয়ে দেন। আজ বাসের কোন সিট খালি নেই। কিছু লোক দাঁড়িয়েও যাচ্ছে। হেলালকেও এখন দাঁড়িয়ে যেতে হবে। হেলাল বাসে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর সবার পেছনে যাবার চেষ্টা করে। যারা দাঁড়িয়ে যায় তাদের বেশির ভাগেরই চেষ্টা থাকে বাসের সামনের দিকটায় দাঁড়ানোর। তাই সামনের দিকে সব সময় লেগে থাকে চাপাচাপি। হেলাল পেছনের দিকে এসে দাঁড়ায়। তার ছোট্ট হাত-ব্যাগটা এক হাতে ধরে আরেক হাতে বাসের ছাদে লাগানো রড গুলো ধরে। বাসের পেছনের গ্লাসটার দিকে তাকায়। উল্টো ভাবে বাসের নাম দেয়া। কি লেখা আছে পড়ার চেষ্টা করে। হুমম, বের হয়েছে। "পি আর পরিবহন" লেখা। কন্ট্রাক্টর এসে টাকা চায় হেলালের সামনে দাঁড়ানো লো

এখনও রাত জাগি (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

গভীর রাত মনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া সময়ের লেগে থাকা স্মৃতি চোখের মাঝে সারাদিনের ক্লান্তি পাশ ফিরে ঘুম জড়ানোর চেষ্টা গভীর শ্বাস, খুব গভীর শ্বাস ছাড়ার সময়- ধীরে, খুব ধীরে যেন আহত স্মৃতিগুলোকে পরম যত্নে বের করে দেয়া জেগে থাকা ঘড়ির শব্দ শুনে। কাল হয়ত কাউকে গর্ব করে বলব "তার জন্য এখনও রাত জাগি"।

লেক (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

কত কিছু লেকের জলে ভাসে বোতল, পলিথিন, আবোর্জনা তার পাশে লেকের পানি ময়লা হয়ে যায় ময়লা পানি তবু পাখিরা খায় পাখি খেয়ে যায় উড়ে ওই আকাশে আকাশ মাঝে মেঘেরা ভাসে বাতাসে বাতাস আজ বইছে খুব কম লেকের পানি নিচ্ছে অনেক রং কালো,খয়েরি,কিছু জায়গায় খুদি পানায় সবুজ লেকের পানিতে ঢিল ছোড়ে এক অবুঝ ঘুরে দেখি সেও দেখছে আমায় তাকিয়ে ড্যাবড্যাব চোখে, ঘাড়টা একটু বাকিয়ে চোখ পাকিয়ে দেখলাম তার দিকে ভয় পেয়ে তার মুখ হয়ে গেল ফিকে ফিকে মুখ আর ভীত দুটি চোখ আমার মাঝে পেয়ে গেল কেমন শোক আহা বেচারা, পাচ্ছে কত ভয় আর কতক্ষণ সে গাছের আড়ালে রয় মিষ্টি হাসিতে ডাকলাম হাত নেড়ে কিজানি কি হল পালালো সে আড়াল ছেড়ে হয়ত কাছেই বাসা এই বাচ্চার সমাজে এরা পায়না কখনও সুবিচার সবার মত বাঁচা তাদের সাজে না অনেক লোকই তাদের দুঃখ বোঝে না না বুঝুক তাতে আমার কিসের যায় আসে জীবন যুদ্ধে সব সুবিধা থাকে না পাশে দুঃখ থাকে হাজার রকম তাদের আবার হাজার সকম কারও দুঃখ ভাতে আবার কারও দুঃখ কারে যারা বেশি পায় তাদের দুঃখই দেখি বেশি বাড়ে দুঃখ লুকাতে অনেকে আসে এ লেকে দুঃখ বিলায় এ ঢেউহীন জল দেখে প্রেমিকা

গভীর রাতের কিছু আমি ,আমি ,আমি (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

এই শীতের মাঝে একটা পাতলা টি শার্ট পরে বসে আছি । গায়ে ঠান্ডা লাগছে । গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে কিছুক্ষণ পরপর । ইচ্ছে করে লাগাচ্ছি । বড় কোন লেখক হলে সুন্দর কোন উপমা দিতেন এই ব্যাপারটাতে । আমি সোজাসুজিই বলি- কিছু কষ্ট থাকে তাদের এড়াতে অন্যকোন কষ্টকে আকড়ে ধরতে হয় আমিও তাই করছি , ঠান্ডা লাগাচ্ছি । ফলাফল হাতে হাতে, মাথাটা অনেকদিন পর হালকা হালকা লাগছে । কাজ নেই , কোন তাড়া নেই । সব ব্যস্ততাকে বাইবাই বলেছি অনেকদিন হল । না , কথাটা ভুল বললাম । কোন দিন আমি ব্যস্ত কেউ ছিলাম না । মানুষ কত ব্যস্ত । আমি মানুষ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি । না অমানুষ হচ্ছি তা না , "মানুষের মত মানুষ" বলে একটা কথা আছে সেই কথার "মানুষ" টাকে বুঝাচ্ছি । আমার চারপাশে সব "মানুষ" এর ছড়াছড়ি , সবাই কত ব্যস্ত , কত টেনশন তাদের ! সবাই ভবিষ্যৎ বুনতে ব্যস্ত । একটা বিষয় আমি সবসময় এমন মানুষগুলোর কাছে পাই । সেটা আর কিছুই না "স্বার্থপরতা" র কথা বলছি । আমিও হতে চাই কিন্তু তাদের মত স্বার্থপরতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি না । আমার জীবনের ব্যর্থতা গুলোর মাঝে এইটা একটা । মনোবিজ্ঞানের বিষয়ের মাঝে এই স্বার্থপরত

রাকিব (গল্প) (মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ )

রাকিব নামটা আমার মা দিয়েছিল। জন্মের দুই মাস পর আমার নাম করণ হয়। বাবা, ছোট চাচা মিলে পিয়াস নাম দেয়ার চেষ্টা করলেও মার জোরাজুরিতে রাকিব নাম টাই থেকে যায়। রাস্তা দিয়ে হাটলে সবাই রাকিব নামে ডাকে। পেছনে ফিরি না। ভয় করে। নিজের মত চলতে থাকি। ওরা কেউ ভাল না। সবচেয়ে খারাপ আমার ক্লাশের ছেলে গুলো।সব বাজে কথা তাদের মুখে। এখন আমি ক্লাশ টেনে পড়ি। এর আগের বছরেও টেনে ছিলাম। ফেল করার কারণে এবারও টেনে। মা বলেছে ভাল করে পড়তে হবে, এবার পাশ করতে হবে, ভাল একটা চাকরি করে ভাল বউ আনতে হবে। বউ! আমার খুব লজ্জা করছিল কথাগুলো শুনতে। বিয়ে আমি করব না। ছি! কি লজ্জা। আমি একা আমার ডগিকে নিয়ে আছি এটাই ভাল। ডগি আমার বন্ধু, আমাদের বাড়ির পোষা কুকুর। আমার সব থেকে আপন বন্ধু। ও ছাড়া আমাকে ভাল করে আর কেউ বুঝতে পারে না। সকালে উঠে দাঁত মাজা খুব খারাপ। ইচ্ছে করে না। মার কারণে মাজতে হয়। না মাজলে খুব রাগ করে। দাঁত মেজে খেয়ে স্কুলে যেতে হয়। বাবা আমাদের লাল গাড়িটায় স্কুলে পৌছে দেয়। আমি একা হেঁটে স্কুল গেট থেকে ক্লাশ রুম পর্যন্ত যাই। যাবার সময় খুব ভয়ে ভয়ে থাকি এই বুঝি হাসান, রুবেল, শিলারা দেখে ফেলল। ছোট ক্লাশের ছেলেরাও খুব খার