Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2015

বিকেলের জানালাগুলি

১. বিকেলের রোদ জানালা দিয়ে ঘরে আসছে। সন্ধ্যে নামতে তখনও অনেক দেরি। অন্তর হাফিজের ঘরে ঢুকে প্রথমে জানালাগুলো বন্ধ করে পর্দা টেনে দিল। মিথিলার আধা চেতন অাধা অচেতন শরীর সোফাতে পড়ে আছে। সোফা থেকে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিল। ওড়নাটা সোফাতে পড়ে। মিথিলা বিড়বিড় করে একবার হাফিজ হাফিজ বলল। পাশে থাকা চেয়ারটায় বসল অন্তর। মিথিলার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখলো, এই তো সুযোগ। ২. হাফিজের বাড়িটা রাস্তার পাশে।দোতলা বাড়ি। আশে পাশের বাড়িগুলো গুলো একটু দূরে দূরে। ৩. হাফিজ ক্লাশে ভাল ছাত্র হিসেবে পরিচিত।প্রথম থেকেই সামনের দিকে বসে। আজকেও তাই। কিন্তু আজ সামনে বসলেও ম্যামের কোন কথাই কানে ঢুকছে না। ক্লাশ শেষ হলে মিথিলার সাথে দেখা করতে হবে। আজকে মিথিলার সাথে ঝগড়াটা কোন দিকে টার্ন করাতে হবে সেটা নিয়ে ক্লাশের মাঝে পরিকল্পণা করতে থাকে সে। ৪. মিথিলা মেয়েটা দেখতে ফর্সা। এদেশে ফর্সা মানেই সুন্দর। মিথিলার মত মেয়েকে গার্লফ্রেন্ড হিসেবে রাখা যেকোন ছেলের জন্য ভাগ্যই বলতে হবে। মিথিলা সেটা জানত। কয়েকটা প্রোপজের মাঝে আদনান ছেলেটা তার সাথে যায়। তাই বেছে বেছে অাদনানের সাথে রিলেশন শুরু করল। প্রথমে মিথি

মন ভাল করার রেসিপি

মন এক কেজি কারণ একটা ঘটনা দশ টেবিল চামুচ সময় পরিমাণমত মন খারাপ হলে সবার আগে মন খারাপ করার প্রধান কারণটা খুজে বের করুন। সাধারণত মন খারাপের পেছনে একটা বড় কারণ থাকে। সেই কারণটা থেকেই মন খারাপের শুরু হয়। কিন্তু তারপর আরও বিভিন্ন কাজে দৈনন্দিন অসফলতা মন খারাপের ভাবকে আরো উষ্কে দেয়। যদি কারণটা বের করতে না পারেন তবে আপনার সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছুকে মন খারাপের কারণ বলে মনে হবে। মনে হবে পৃথিবীতে কেন আপনার সাথেই অমুক ঘটনা, তমুক ঘটনা হতে হবে! আশেপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। নিজেকে সেমাইয়ে দেয়া আলগা তেজপাতা লাগবে। ফলে মন ভাল করার পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই প্রধান কারণটা বের করা জরুরী। মন খারাপের প্রধান কারণটা বের করে ফেললে শুয়ে বসে যতক্ষণ ইচ্ছে মন খারাপ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ মন খারাপ থাকার পর কেন ঘটনাটা আপনার সাথে ঘটল, ঘটনা এর চেয়েও খারাপ হতে পারত কিনা, সামনে এমন হবার সম্ভাবনা আছে কিনা এসব ভাবুন। পুরো ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন। জানি এখনও মন ভাল হয়নি আপনার। তবে আসল কাজ কিন্তু শেষ। এখন আপনার প্রধান কাজ হল সময়টা পার করা। এর জন্য যা করতে হয় করুন। গান শোনা,

মুখর বাদল দিনে

ব্যাচেলরদের বিশেষ করে ঢাকার ব্যাচেলরদের একটা শৌখিনতা আছে। একটু ফাঁকা সময় পাওয়া গেল,একা বা দুটো বন্ধু জুটলোতো সোজা চায়ের দোকানে বসে সিগারেট টানতে টানতে চা খাওয়া (পান করা আরকি) শুরু। কেউ এটা প্রায়ই খায়, কেউ নেশার মত প্রতিদিন খায়। এই টংএর দোকানে বসে চা খাবার মজাটা আমি এখনও ধরতে পারিনি। আমি এভাবে চা খুব কম খাই। একারণে আবার আমার আশেপাশে যারা "সেই রকম চাখোর" মানুষ তারা আমার সাথে থাকলে বিপদে পড়ে যায়। আমি তাদের চা খেতে বলি না, তারা চা খাবার কথা বললে "না খাবো না" বলে দেই। তখন তারা ভদ্রতা দেখাবে নাকি আমাকে দাঁড় করিয়ে একা একা চা খাবে তা নিয়ে মহা ভ্যাবাচ্যাকায় পড়ে। এই ভ্যাবাচ্যাকার প্রথম শিকার সম্ভবত নিশান।   নিশান ঢাকা থেকে আমার বাসায় (কুড়িগ্রামে) বেড়াতে এল। আমি তাকে নিয়ে এখানে ঘুরি, সেখানে ঘুরি। ঘুরতে ঘুরতে সকাল থেকে বিকাল হয়, এটা খাওয়া হয় সেটা খাওয়া হয় কিন্তু তাকে চা খাবার কথা বলি না বা চা খাবার কথা উঠলে কি দরকার বলে এড়িয়ে যাই। ছেলে পড়ল বিপদে। সে ঢাকায় যত আড্ডা দেয় সাথে চা থাকেই। তাদের অভ্যাস এটা। সারাদিন গেল অথচ গরম চায়ে এক চুমুকও দিতে পার

কবি আর কুকুর

রাত থেকে সকাল দুজন চোখ মেলে এক কুকুর, আরেক কবি কুকুরটা থাকে রাস্তায় তার সকাল মানে খিদে খিদে মানে ছিড়ে ধরে কেড়ে নেয়া। এদিকে কবির সকাল হয় টেবিল ক্লথ বিহীন এক আকাশের ছোট্ট মেঘে কবি তার টেবিলটার নাম দিয়েছে আকাশ চেয়ারটার নাম দিয়েছে মেঘ। ছোট্ট মেঘের চার পায়াতে ভর দিয়ে অস্তিত্বের ছন্দ অাঁকে মানুষ আঁকে, আঁকে মানুষের ভেতরটা নিজের ব্যথা উগরে এসে ছিটকে গিয়ে পড়ে কোন সুখের কবিতার লাইনে কবি রাত জেগে জেগে যত্ন করে কষ্ট মোছে। এভাবে প্রতি রাত থেকে সকাল ওঠে। বাইরে ঝুম বৃষ্টি, বাইরে ঝুম শীত, বাইরে ঝুম রোদ বা বাইরে ঝুম কিছু একটা কবির তা দেখে কবিতা আসে না। বাইরে একটা গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। পাতার কষ্টে কবির হৃদয়ে ঢল নামে কবিতার। শুকিয়ে মরার আকুতি কবির আঙুল ফেটে বোরোয়। সে পাতা নড়ে না চড়ে না শুকিয়ে মরে দিন দিন সে পাতা কাঁদে, কবি সে কান্না শোনে, কুকুর শোনে না সবাইকে পাতার কান্না শুনিয়ে কবির মন ভরে কিন্তু পেট ভরে না কবি সকালে না খেতে খেতে একদিন মরে যায় তবু লিখে যায় পাতার কান্না। সে পাতাও একদিন ঝড়ে পড়ে। সেই রাস্তায়- যে রাস্তায় কুকুর শোয় কবি মরার পর স্বপ্নে দেখে- এ জগৎ কবিদের নয় এ

সুখ

Happiness তারাই সুখি, যারা শুধু রঙটাকে দেখে।

কষ্ট মেশার স্বাদ

বৃষ্টি যেন মিষ্টি লাগে, হৃদয়টা গায় গান বই খাতা সব ছুড়ে ফেলে চায় যে তাকে প্রাণ পাগল পাগল মনটা আর উড়ছে যেন জান আরে দাঁড়াও, বন্ধু না হয়, মন হবে খানখান। চাইছো তাকে, বুনছো স্বপ্ন, স্বপ্ন নদীর বাঁকে, ভাবছো তুমি, স্বপ্ন পূরণ, হবে পেলে তাকে। পেয়ে যদি, হারাও তাকে, ভেবেছো একবারো, স্বপ্ন পঁচবে, পঁচবে বুকটা, স্বপ্নচুর এবারো। না না শেষ হইনি তখনও তার দেয়া সব সাজা, কাচের মত ভাঙ্গবে হৃদয়, ওরে রাজ্যবিহীন রাজা। বুঝবে ছাড়লে রক্তের সাথে কষ্ট মেশার স্বাদ ভালবাসা দিয়ে হয়না কিছু, এটা বালির বাঁধ। হাজার লাভিউ, হাজার শব্দ, হাজার সময় মিশে কতটা তাকে ভালবেসেছিলে বুঝবে সবার শেষে।

ঢেউ

বুকের গভীরে হঠাৎ খুজে যদি পাও স্মৃতি চলে আসে বা চিঠি হাতড়াও লাভ নেই কোন পড়ে আছে ছাই মেলে না কোন সুর যত সুর মেলাই আসবেনা জানি আসবে না কেউ আর নেই জানো কোন কষ্টের ঢেউ।

স্বপ্নের দেশে

তোমার মাঝে যে রঙ্গিন স্বপ্ন ওড়ে ঐ বহুদূর বহুদূর গিয়ে, যদি আমি বলি, চল খাই চানাচুর খাবে তুমি কি, বসবে চাঁদে, রাখবে বাটি আকাশে চায়ে চিনি কম, মেঘ ছিড়ে ছিড়ে, শুকাবো খোলা বাতাসে শুকনো মেঘে, চা গুলিয়ে, বসব পাশাপাশি আরে ভয় নেই, কোন ভয় নেই, বলব না ভালবাসি বলব তোমায় পাখির গল্প, ব্যাঙের বাসায় থাকে ছোট্ট বাড়ির ছোট্ট চালায় মেঘের স্বপ্ন আঁকে অথবা বলব অাফ্রিকাতে অর্থনীতির কথা মন্দায় শেষ সবকিছু আজ, সবার মাথাব্যাথা কিংবা বলব বাংলাদেশে কয়টা নদী আছে কয়টায় আজ জল শুকিয়ে, ধানের দোলায় ভাসে তুমি কি জানো বার্জেলিয়াস বা প্লাঙ্কের সূত্রটা চাঁদে বসার আগে, খাতা এনে রেখো, শেখাবো নাহয় ওটা এসব যদি ভাল না লাগে, চলো দেয়া নেয়া করি সাক্ষী থাকবে স্বপ্নদেশের মেঘদূত, অপ্সরী আমার জীবনের বাকি সুখগুলো সব কিছু তুমি নেবে শুধু তোমার হৃদয়ের কবিতাখানি আমাকে পড়তে দেবে।