রাত জাগা সকালগুলোতে ভোর হয় তাড়াতাড়ি
কাকের ডাক, মোরগের ডাক তালগোল পাকায়
নগরীর আলো ফোটার জানান দেয় পাশের বাড়ির বাইকটার শব্দ
বিকট, ধ্রুমধ্রাম শব্দে চারপাশ যেন কেঁপে ওঠে
তারপর ঐ লোকটি বাইকে ঘড়ঘড় শব্দ করে অফিসে চলে যায়।
সব কিছুর কাঁপাকাঁপিতে
কেঁপে ওঠে হয়ত লোকটির বৌয়ের বুকও।
সারাদিনের জন্য কাজে যায় লোকটি
ফিরবে সেই সন্ধ্যায়
এনজিওর চাকরি যে, কাজ তাই বেশি
ভোরে উঠে বৌটি ভাত রাঁধে
গরম ধোয়াওঠা ভাত সাথে রাতের তরকারি
লোকটি গামছা ঘাড়ে নিয়ে "তাড়াতাড়ি দাওতো, লেট হয়ে গেল " বলে খেতে বসে
বৌটি এত বলে গামছা ঘাড়ে রেখে খাওয়া এ কেমন অভ্যেস
লোকটি কান দেয় না
বিয়ের সাত বছর হয়েছে
বৌটি মেনে নিয়েছে অভ্যাসটি।
আমি মানাতে পারি নি
না, তার ঘাড়ে গামছা দেয়ার মত তাদের পারসোনাল ব্যাপারটা নয়
তার ঘড়ঘড় করে বিকট শব্দে গাড়ি চালিয়ে কাজে যাবার মুহূর্তটা
রোজ সকালে সহ্য করতে হচ্ছে আমাকে।
লোকটির বৌটি দেখতে তেমন মিষ্টি না
রুক্ষ
ঐ বাড়িটায় আরেকঘরে ভাড়া থাকে দুই বুড়োবুড়ি,
রক্তে হিন্দু, জাতেও হিন্দু।
প্রায়ই ঝগড়া লাগে বৌটার সাথে
হিন্দু-মুসলিমের চিরন্তন দ্বন্দ্বের গরুর মাংস নিয়ে
একজাতের কাছে "মা", এক জাতের কাছে স্রেফ অবলা গরু
বুড়োবুড়ি বাড়িতে আনতে দেবে না, বৌটি আনবেই।
ঝগড়া মেটে লোকটি ফিরলে
কিভাবে মেটায় আমি জানি না, কিন্তু মেটায়।
একবার লোকটির বাড়ির ভেতরটা দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার
ছোট্ট ঘরে বড় একটা লোহার বিছানা
বিছানার সাথে লাগোয়া টেবিলে টিভি
তারপাশে একটা মস্ত ট্রাংক
ঘরের জায়গা শেষ
দেয়ালে কা'বা শরীফের ছবি, ট্রাংকের উপর জায়নামাজ ভাজ করা
সুন্দর করে সাজিয়ে রাখাছিল সবকিছু
বৌটি লোকটিকে নিয়ে পাখির বাসার মত সুখের বাসা বানিয়ে ফেলেছে
এ ভাগ্য কিন্তু সবার যে জোটে না!
আমি বুঝতে পারছি, আমার কিছু করার নেই
প্রতিদিনের অসহ্য লাগা শব্দটির বিপরীতে বলার মত যুক্তি নেই
তাকে অফিসে যেতেই হবে, বাইক চালাতেই হবে আর রোজ সকালে আমাকে শুনতে হবে বিকট শব্দটাও
আমি আজও ঘুমাইনি
শব্দটার অপেক্ষায় আছি
শুনলে বিছানা ছাড়ব যে
কিন্তু আজ আর শব্দটা আসে না
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও আসে না
কোন বিপদ হল কি!
খানিকটা চিন্তিত হয়ে বিছানা ছাড়ি
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়াই
ঠিক এমন সময় বিকট আওয়াজ করে লোকটি বাইক নিয়ে বেরয়
আমার শঙ্কা পানি হয়
"নাহ, সব ঠিক আছে। "
অামার সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি লোকটি একা নয়
বাইকের তেলের টাঙ্কির উপর কাচুমাচু মুখ করে একটা বাচ্চা মেয়ে বসে
আমি বাচ্চা মেয়েটাকে চিনি
হিন্দু বুড়োবুড়ির পিচ্চি নাতনি এটা
নিশ্চই বেড়াতে এসেছে।
আমার বুকটা তখন হঠাৎ ধ্বক করে ওঠে
সব সাজানো দেখালেও একটা বড় ফাঁকা দেখতে পাই
সাজানো ঘর, সাজানো সবের মাঝে
এমন সাত বছরের সংসারে
একটা বাচ্চা থাকার কথা ছিল।
নেই!
কাকের ডাক, মোরগের ডাক তালগোল পাকায়
নগরীর আলো ফোটার জানান দেয় পাশের বাড়ির বাইকটার শব্দ
বিকট, ধ্রুমধ্রাম শব্দে চারপাশ যেন কেঁপে ওঠে
তারপর ঐ লোকটি বাইকে ঘড়ঘড় শব্দ করে অফিসে চলে যায়।
সব কিছুর কাঁপাকাঁপিতে
কেঁপে ওঠে হয়ত লোকটির বৌয়ের বুকও।
সারাদিনের জন্য কাজে যায় লোকটি
ফিরবে সেই সন্ধ্যায়
এনজিওর চাকরি যে, কাজ তাই বেশি
ভোরে উঠে বৌটি ভাত রাঁধে
গরম ধোয়াওঠা ভাত সাথে রাতের তরকারি
লোকটি গামছা ঘাড়ে নিয়ে "তাড়াতাড়ি দাওতো, লেট হয়ে গেল " বলে খেতে বসে
বৌটি এত বলে গামছা ঘাড়ে রেখে খাওয়া এ কেমন অভ্যেস
লোকটি কান দেয় না
বিয়ের সাত বছর হয়েছে
বৌটি মেনে নিয়েছে অভ্যাসটি।
আমি মানাতে পারি নি
না, তার ঘাড়ে গামছা দেয়ার মত তাদের পারসোনাল ব্যাপারটা নয়
তার ঘড়ঘড় করে বিকট শব্দে গাড়ি চালিয়ে কাজে যাবার মুহূর্তটা
রোজ সকালে সহ্য করতে হচ্ছে আমাকে।
লোকটির বৌটি দেখতে তেমন মিষ্টি না
রুক্ষ
ঐ বাড়িটায় আরেকঘরে ভাড়া থাকে দুই বুড়োবুড়ি,
রক্তে হিন্দু, জাতেও হিন্দু।
প্রায়ই ঝগড়া লাগে বৌটার সাথে
হিন্দু-মুসলিমের চিরন্তন দ্বন্দ্বের গরুর মাংস নিয়ে
একজাতের কাছে "মা", এক জাতের কাছে স্রেফ অবলা গরু
বুড়োবুড়ি বাড়িতে আনতে দেবে না, বৌটি আনবেই।
ঝগড়া মেটে লোকটি ফিরলে
কিভাবে মেটায় আমি জানি না, কিন্তু মেটায়।
একবার লোকটির বাড়ির ভেতরটা দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার
ছোট্ট ঘরে বড় একটা লোহার বিছানা
বিছানার সাথে লাগোয়া টেবিলে টিভি
তারপাশে একটা মস্ত ট্রাংক
ঘরের জায়গা শেষ
দেয়ালে কা'বা শরীফের ছবি, ট্রাংকের উপর জায়নামাজ ভাজ করা
সুন্দর করে সাজিয়ে রাখাছিল সবকিছু
বৌটি লোকটিকে নিয়ে পাখির বাসার মত সুখের বাসা বানিয়ে ফেলেছে
এ ভাগ্য কিন্তু সবার যে জোটে না!
আমি বুঝতে পারছি, আমার কিছু করার নেই
প্রতিদিনের অসহ্য লাগা শব্দটির বিপরীতে বলার মত যুক্তি নেই
তাকে অফিসে যেতেই হবে, বাইক চালাতেই হবে আর রোজ সকালে আমাকে শুনতে হবে বিকট শব্দটাও
আমি আজও ঘুমাইনি
শব্দটার অপেক্ষায় আছি
শুনলে বিছানা ছাড়ব যে
কিন্তু আজ আর শব্দটা আসে না
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও আসে না
কোন বিপদ হল কি!
খানিকটা চিন্তিত হয়ে বিছানা ছাড়ি
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়াই
ঠিক এমন সময় বিকট আওয়াজ করে লোকটি বাইক নিয়ে বেরয়
আমার শঙ্কা পানি হয়
"নাহ, সব ঠিক আছে। "
অামার সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি লোকটি একা নয়
বাইকের তেলের টাঙ্কির উপর কাচুমাচু মুখ করে একটা বাচ্চা মেয়ে বসে
আমি বাচ্চা মেয়েটাকে চিনি
হিন্দু বুড়োবুড়ির পিচ্চি নাতনি এটা
নিশ্চই বেড়াতে এসেছে।
আমার বুকটা তখন হঠাৎ ধ্বক করে ওঠে
সব সাজানো দেখালেও একটা বড় ফাঁকা দেখতে পাই
সাজানো ঘর, সাজানো সবের মাঝে
এমন সাত বছরের সংসারে
একটা বাচ্চা থাকার কথা ছিল।
নেই!
Comments
Post a Comment