গিফট বিষয়ে আমার জ্ঞান মাইনাসের ঘরে। কাকে খুশি করতে কি দিতে হবে সেটা
কোনদিন গবেষণা করে বের করতে পারিনি। এর জন্য সবসময় বন্ধুরা বিনা ট্রিটে
হেল্প করেছে। মন না চাইলেও কিছু মানুষকে গিফট দিতে হয়। এইগুলো ছিল সেই
গিফট। সেটা বেশিরভাগ সময় ছিল অ্যাটেশন সিক করতে।
.
এছাড়াও আরেক ধরনের গিফট আছে। কোন জিনিস ভাল লাগলে সেটা প্রিয়জনকে দিতে ইচ্ছে করে। ক্লাশ সিক্স কি সেভেনে বাজারে ঘুরতে ঘুরতে একটা নেইল কাটার খুব পছন্দ হয়ে যায়। সেটা শুধু সুন্দর না, দামী ছিল। পকেটের সব টাকা দিয়ে সেদিন নেইল কাটারটা কিনলাম। তারপর সেটা আমার সে সময়ের প্রাক্তন পিস অফ কলিজাকে উপহার দিলাম। নেইল কাটার হাতে নিয়ে মেয়েটা হতভম্ব। একবার আমার দিকে তাকালো একবার নেইল কাটারের দিকে। আমিও বোঝার চেষ্টা করলাম নেইল কাটারে অবাক হবার কি আছে। সেটাতে দুটো প্রজাপতির ওড়ার ছবি, নিচে বড় করে লেখা "LOVE"। নখ কাটার সময় আমার কথা মনে পড়বে। সিম্পল।
যাইহোক সে নেইল কাটার নেয় নি। এখনও আমি সেটা দিয়ে আমি নখ কাটি। নখ কাটার সময় তার কথা মনে পড়ে, কত ভাল নখ কাটা যায় এটা দিয়ে, বোকা মেয়ে ভাল জিনিসটা নিল না। (তিনি ফ্রেন্ডলিষ্টে আছেন, দয়া করে নেইলকাটারটার দাবি করিয়া লজ্জা দিবেন না :3)
.
তারপরের স্মরণীয় গিফট ছিল আমার আরেক প্রাক্তন পিস অফ অ্যানাদার কলিজার টুকরা নিয়ে। সেই মেয়েকে গিফট দিব। মেয়েদের কোন জিনিস নিয়ে আমার কোন ধারনা নাই।তাই আরেক মেয়েকে (যার প্রাক্তন টুকরা অফ কলিজা আমি ছিলাম, সেটা আরেক গুরুগম্ভীর গল্প :3) ধরলাম। তাকে সহ বাজার ঘুরে ঘুরে গিফট কিনে আমার ইয়েকে গিফট দিলাম। তবু কেন যেন মনে হত মন মত কিছুই হচ্ছে না, বড় কিছু দেয়া দরকার। তারপর প্রথমআলোতে ডায়মন্ড ওয়াল্ডের হিরার আংটির বিজ্ঞাপন দেখলাম। গিফট দিতে হলে রাজা বাদশা স্টাইলে দিব। হিরা চুনি পান্না। ঠিক করলাম সারপ্রাইজ হিসেবে থাকবে এটা। দিনের পর দিন ধরে টাকা জমাতে শুরু করলাম। অর্ধেকের বেশি যখন টাকা জমল সে উল্টো আমাকে সারপ্রাইজ দিল -"ব্রেকআপ"। :'(
আমি বেকায়দায় পড়লাম। হৃদয় শূণ্য অথচ পকেট ভর্তি টাকা। কি করব এখন এতগুলো টাকা দিয়ে! আমার কিছু অনাহারী বন্ধু আছে। তারা আকাশে চাঁদ উঠলেও বলে ট্রিট দে ট্রিট দে । ভাবলাম তাদের পেট ভরিয়ে একবেলা খাওয়াই। তাদের ফোন দিতে গিয়ে দেখলাম আমি নিজেই গরীব, কি একটা পুরানা ফোন ইউজ করি! যেই ভাবা সেই কাজ। চোখের পানি মুছতে মুছতে ফোন কিনে আনলাম। সে এক বড় ভাল ফোন গো, অন্তত যাকে হিরার আংটি দিতে চেয়েছিলাম তার চেয়ে ভাল, এখনও ছেড়ে যায় নি। এখন আমি যেটা দিয়ে টাইপ করছি এটা সেই ফোন।
.
ফুল আর না ফুটুক তারপর থেকে সুখের দিন শুরু হল। আর কাউকে ইচ্ছার বাইরে গিফট দেইনি।
.
কোন মানুষকে ভাল লাগলে বই গিফট দেই, বেশি ভাল লাগলে নিজের লেখা কোন গল্প বা কবিতা।
আমার সাধ্যের মাঝের সবচেয়ে দামী জিনিস এইদুটোই আগে ছিল এবং এখনও আছে।
অবশ্য যতজনকে দিয়েছি দুই একজন বাদে কারই আমার দেয়া গরিবী গিফট পছন্দ হয় নি।
.
এছাড়াও আরেক ধরনের গিফট আছে। কোন জিনিস ভাল লাগলে সেটা প্রিয়জনকে দিতে ইচ্ছে করে। ক্লাশ সিক্স কি সেভেনে বাজারে ঘুরতে ঘুরতে একটা নেইল কাটার খুব পছন্দ হয়ে যায়। সেটা শুধু সুন্দর না, দামী ছিল। পকেটের সব টাকা দিয়ে সেদিন নেইল কাটারটা কিনলাম। তারপর সেটা আমার সে সময়ের প্রাক্তন পিস অফ কলিজাকে উপহার দিলাম। নেইল কাটার হাতে নিয়ে মেয়েটা হতভম্ব। একবার আমার দিকে তাকালো একবার নেইল কাটারের দিকে। আমিও বোঝার চেষ্টা করলাম নেইল কাটারে অবাক হবার কি আছে। সেটাতে দুটো প্রজাপতির ওড়ার ছবি, নিচে বড় করে লেখা "LOVE"। নখ কাটার সময় আমার কথা মনে পড়বে। সিম্পল।
যাইহোক সে নেইল কাটার নেয় নি। এখনও আমি সেটা দিয়ে আমি নখ কাটি। নখ কাটার সময় তার কথা মনে পড়ে, কত ভাল নখ কাটা যায় এটা দিয়ে, বোকা মেয়ে ভাল জিনিসটা নিল না। (তিনি ফ্রেন্ডলিষ্টে আছেন, দয়া করে নেইলকাটারটার দাবি করিয়া লজ্জা দিবেন না :3)
.
তারপরের স্মরণীয় গিফট ছিল আমার আরেক প্রাক্তন পিস অফ অ্যানাদার কলিজার টুকরা নিয়ে। সেই মেয়েকে গিফট দিব। মেয়েদের কোন জিনিস নিয়ে আমার কোন ধারনা নাই।তাই আরেক মেয়েকে (যার প্রাক্তন টুকরা অফ কলিজা আমি ছিলাম, সেটা আরেক গুরুগম্ভীর গল্প :3) ধরলাম। তাকে সহ বাজার ঘুরে ঘুরে গিফট কিনে আমার ইয়েকে গিফট দিলাম। তবু কেন যেন মনে হত মন মত কিছুই হচ্ছে না, বড় কিছু দেয়া দরকার। তারপর প্রথমআলোতে ডায়মন্ড ওয়াল্ডের হিরার আংটির বিজ্ঞাপন দেখলাম। গিফট দিতে হলে রাজা বাদশা স্টাইলে দিব। হিরা চুনি পান্না। ঠিক করলাম সারপ্রাইজ হিসেবে থাকবে এটা। দিনের পর দিন ধরে টাকা জমাতে শুরু করলাম। অর্ধেকের বেশি যখন টাকা জমল সে উল্টো আমাকে সারপ্রাইজ দিল -"ব্রেকআপ"। :'(
আমি বেকায়দায় পড়লাম। হৃদয় শূণ্য অথচ পকেট ভর্তি টাকা। কি করব এখন এতগুলো টাকা দিয়ে! আমার কিছু অনাহারী বন্ধু আছে। তারা আকাশে চাঁদ উঠলেও বলে ট্রিট দে ট্রিট দে । ভাবলাম তাদের পেট ভরিয়ে একবেলা খাওয়াই। তাদের ফোন দিতে গিয়ে দেখলাম আমি নিজেই গরীব, কি একটা পুরানা ফোন ইউজ করি! যেই ভাবা সেই কাজ। চোখের পানি মুছতে মুছতে ফোন কিনে আনলাম। সে এক বড় ভাল ফোন গো, অন্তত যাকে হিরার আংটি দিতে চেয়েছিলাম তার চেয়ে ভাল, এখনও ছেড়ে যায় নি। এখন আমি যেটা দিয়ে টাইপ করছি এটা সেই ফোন।
.
ফুল আর না ফুটুক তারপর থেকে সুখের দিন শুরু হল। আর কাউকে ইচ্ছার বাইরে গিফট দেইনি।
.
কোন মানুষকে ভাল লাগলে বই গিফট দেই, বেশি ভাল লাগলে নিজের লেখা কোন গল্প বা কবিতা।
আমার সাধ্যের মাঝের সবচেয়ে দামী জিনিস এইদুটোই আগে ছিল এবং এখনও আছে।
অবশ্য যতজনকে দিয়েছি দুই একজন বাদে কারই আমার দেয়া গরিবী গিফট পছন্দ হয় নি।
Comments
Post a Comment