জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের হল থাকার পরও তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে আশির দশক থেকে। পুরান ঢাকার সদরঘাটের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে থাকা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের নয়টি আবাসিক হল এখনও প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায় ১৯৮৫ পর্যন্ত ওইসব হলে শিক্ষার্থীরা বসবাস করে আসছিলেন। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলায় স্থানীয়দের সঙ্গে শহীদ আব্দুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর তিনটি বাদে বাকি হলগুলো বন্ধ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে পাটুয়াটুলীর ওয়াইজঘাট ৮ ও ৯ নম্বর জিএল পার্থ লেইনের ‘তিব্বত হল’ দখলের অভিযোগ রয়েছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম ‘গুলশান আরা সিটি মার্কেট’ নির্মাণ করেন নিজের স্ত্রীর নামে। বর্তমানে ওই জায়গায় মার্কেটের পাশে পুরনো হলটির পরিত্যক্ত কিছু অংশ ও ভাঙা দেয়ালসহ কিছু চিহ্ন দেখা যায়।
বেদখলে রয়েছে আরমানিটোলার মাহুতটুলির শহীদ আনোয়ার শফিক হলটিও। স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুরনো ভবন ভেঙে ফেলেন। এখন সেখানে টিন, হার্ডওয়ার ও ফার্নিচারের গোডাউন রয়েছে। হার্ডওয়্যারের দোকান হয়েছে টিপু সুলতান রোডের ১৫, ১৭ ও ২০ যদুনাথ বসাক লেইনের সাইদুর রহমান হলেও। পাশে থাকা রউফ মজুমদার হলেরও একই পরিণতি ঘটেছে।
পাটুয়াটুলীর ১৬ ও ১৭ নম্বর রমাকান্ত নন্দী লেইনে শহীদ আজমল হোসেন হলটি ছিল পুলিশের দখলে। ১৯৯৬ সালে এর একাংশ দখলে নেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোশারফ হোসেন খান।
এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেগম রোকেয়া নামে এক শহীদ পরিবারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জায়গাটি দখল করা হয়। ওই পরিবার ছাড়াও হলটিতে বর্তমানে বিভিন্ন সমিতি ও প্রেসের কার্যক্রম চলছে।
তাঁতীবাজার ঝুলনবাড়ী লেইনের শহীদ শাহাবুদ্দিন হলটিও দুই যুগের বেশি সময় ছিল পুলিশের দখলে। ২০০৯ সালের জুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক এর দখল নেন।
এর বাইরে জগন্নাথের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বানানো পাটুয়াটুলীর ‘কর্মচারী আবাস’ দখল করে ছয়তলা ক্রাউন মার্কেট গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহান জানান হল উদ্ধারে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উল্টো নতুন করে তাদের হল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই।
খোজ নিয়ে জানা যায় ১৯৮৫ পর্যন্ত ওইসব হলে শিক্ষার্থীরা বসবাস করে আসছিলেন। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলায় স্থানীয়দের সঙ্গে শহীদ আব্দুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর তিনটি বাদে বাকি হলগুলো বন্ধ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে পাটুয়াটুলীর ওয়াইজঘাট ৮ ও ৯ নম্বর জিএল পার্থ লেইনের ‘তিব্বত হল’ দখলের অভিযোগ রয়েছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম ‘গুলশান আরা সিটি মার্কেট’ নির্মাণ করেন নিজের স্ত্রীর নামে। বর্তমানে ওই জায়গায় মার্কেটের পাশে পুরনো হলটির পরিত্যক্ত কিছু অংশ ও ভাঙা দেয়ালসহ কিছু চিহ্ন দেখা যায়।
বেদখলে রয়েছে আরমানিটোলার মাহুতটুলির শহীদ আনোয়ার শফিক হলটিও। স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুরনো ভবন ভেঙে ফেলেন। এখন সেখানে টিন, হার্ডওয়ার ও ফার্নিচারের গোডাউন রয়েছে। হার্ডওয়্যারের দোকান হয়েছে টিপু সুলতান রোডের ১৫, ১৭ ও ২০ যদুনাথ বসাক লেইনের সাইদুর রহমান হলেও। পাশে থাকা রউফ মজুমদার হলেরও একই পরিণতি ঘটেছে।
পাটুয়াটুলীর ১৬ ও ১৭ নম্বর রমাকান্ত নন্দী লেইনে শহীদ আজমল হোসেন হলটি ছিল পুলিশের দখলে। ১৯৯৬ সালে এর একাংশ দখলে নেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোশারফ হোসেন খান।
এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেগম রোকেয়া নামে এক শহীদ পরিবারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জায়গাটি দখল করা হয়। ওই পরিবার ছাড়াও হলটিতে বর্তমানে বিভিন্ন সমিতি ও প্রেসের কার্যক্রম চলছে।
তাঁতীবাজার ঝুলনবাড়ী লেইনের শহীদ শাহাবুদ্দিন হলটিও দুই যুগের বেশি সময় ছিল পুলিশের দখলে। ২০০৯ সালের জুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক এর দখল নেন।
এর বাইরে জগন্নাথের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বানানো পাটুয়াটুলীর ‘কর্মচারী আবাস’ দখল করে ছয়তলা ক্রাউন মার্কেট গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহান জানান হল উদ্ধারে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উল্টো নতুন করে তাদের হল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই।
Comments
Post a Comment