বিটিভিতে
অনিয়ম-দুর্নীতি
গণমাধ্যমে
কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দীর্ঘদিন
ধরে আমলাদের বিটিভিতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে । সেখানে জানানো
হয়, সর্বশেষ মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান।
নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তাঁর
সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী
অনুষ্ঠান বিভাগের উপমহাপরিচালক বাহারউদ্দিন খেলনের, যিনি সংবাদ বিভাগেও
প্রভাব খাটান। ফলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম
হয়েও সরকারের সাফল্য বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে
প্রতিষ্ঠানটি।
কমিটির
বৈঠকে সরকারি দলের সদস্যরা বিটিভিতে
প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়েও সমালোচনা করেন। বেশির ভাগ অনুষ্ঠানই দর্শক
আকর্ষণে ব্যর্থ বলে তাঁরা দাবি
করেন। তাঁরা জানান, এ বিভাগে বড়
ধরনের আর্থিক অনিয়মও চলে। অনভিজ্ঞ সত্ত্বেও
কর্মকর্তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে অনুষ্ঠান তৈরি
করা হয়। একটি নাটকে
১০ জন কলাকুশলী লাগলে
সেখানে ১৫ জনের বিল
তোলা হয়। বিশেষ দিবসের
অনুষ্ঠান পুরনো ফুটেজ দিয়ে চালানো হলেও
নতুন ফুটেজের জন্য বিল তোলা
হয়। আবার অবৈধ অর্থ
গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান তৈরির অভিযোগও রয়েছে।
নিয়োগবিধির
ত্রুটির কারণে বিটিভিতে শিক্ষিত ও যোগ্য কর্মকর্তারা
নিয়োগ পাচ্ছেন না। সর্বশেষ প্রকাশিত
তালিকা অনুযায়ী, ১৬৯ কর্মকর্তার মধ্যে
কমপক্ষে ১৫ জন স্নাতক
পাস করেননি। আর বিটিভির অনুমোদিত
এক হাজার ৬৬৭টি পদের মধ্যে ৪০৪টি
পদ শূন্য রয়েছে, যার মধ্যে ১৫২টি
প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদ। এ ছাড়া
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে
নিয়োগ পাওয়া দলবাজ কর্মকর্তারা এখনো বহাল আছেন।
ভ্রান্তনীতি ও যথাযথ পদক্ষেপের
অভাবে বিটিভিতে পেশাদার সাংবাদিকদের যুক্ত করা যায়নি। ফলে
প্রতিষ্ঠানটিতে চরম অব্যবস্থাপনা ও
বিশৃঙ্খলা চলছে।
সংসদীয়
কমিটির কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়,
বৈঠকে বিটিভির দুই কর্মকর্তার ক্ষমতার
দ্বন্দ্বের বিষয়টি উত্থাপন করেন কমিটির সদস্য
মৃণাল কান্তি দাস। তিনি বিটিভির
সার্বিক কার্যক্রমের সমালোচনার পাশাপাশি মহাপরিচালক ও উপমহাপরিচালকের দ্বন্দ্বে
বিটিভি ও সরকারের ভাবমূর্তি
ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও দাবি করেন।
Comments
Post a Comment