আমরা কমিউনিকেশন সাবজেক্টে অত্যন্ত কিউট একজন ম্যাম পাইছি। ক্লাশের মাঝেই ম্যাম আমাদের কমিউনিকেশনের আগা থেকে গোড়া গুলিয়ে শরবত করে খাওয়াচ্ছে। সে শরবত বড় অমৃত। বাসায় এসেও ঠোটে (মনে) লেগে থাকে। নতুন করে আর খাওয়া (পড়া) লাগে না।
তবুও আমি আজ এসেছি কমিউনিকেশন বিষয়ে কিছু জ্ঞান দান করতে।
প্রথমত আপনাদের বুঝতে হবে কমিউনিকেশন জিনিসটা কি?
"কমিউনিকেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে প্রেরক এবং গ্রাহক কথা বলে বা কথা না বলেই কোন তথ্য, চিন্তা, অভিমত ইত্যাদি আদান প্রদান করে। "
হাহহহহ। পরীক্ষাতে দশে দশ। নাহ বাই, ম্যাম বলছে শুধু সঙ্গা লিখে মঙ্গা ঘুচবে না নাকি। :-/
সাথে মনে রাখতে হবে গুণীজনদের দিয়ে যাওয়া ডায়লগগুলো।
জনাব এরিস্টোটল সাহেব দুনিয়ার এহেন কোন সাবজেক্ট বাকি রাখেন নাই যেখানে তার ডায়লগ রাখেন নাই। কমিউনিকেশনেও এরিস্টোটল এসে হাজির। তার কমিউনিকেশন নিয়ে ডায়লগ হল-
"কমিউনিকেশন হল প্রভাবিত করার সকল প্রকার চেষ্টা।"
কার্ল আই হোভল্যান্ড মৃদু স্বরে বলে গেছেন-
"কমিউনিকেশন একটি প্রকৃয়া, বুঝলা বাজান। যেখানে একজন ব্যক্তি তার উদ্দীপনাকে আরেক ব্যাক্তির কাছে প্রবাহিত করে। "
এবার আসি কে কে সেরেনো এবং সি ডি মরটেনসেন এর ব্যাপারে।এই লোক দুইটা এদেশে জন্মালে কপারে খারাবি ছিল, সবাই কে কে সেরেনোকে কে কে কে করে ক্ষাপাতো আর মরটেনসেন বলতো আপনি মরতেই আছেন, হাই আল্লাহ । যাইহোক তারা বলেছেন-
"কমিউনিকেশন একটি প্রক্রিয়া যেখানে প্রেরক এবং গ্রাহক একটি সামাজিক প্রসঙ্গ আদান প্রদান করে"
য ভ লক্ষণ রায় বলেছেন (আসল নাম ওয়াই ভি লাক্সমানা রাও, অথচ বাংলাটাই কত কিউট)-
"কমিউনিকেশন একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যেখানে তথ্যের প্রবাহ ঘটে, চিন্তার বিকাশ হয় এবং মননের প্রসারণ হয়। "
কমিউনিকেশন নিয়ে অদ্ভুত একটা সঙ্গা দিয়েছেন হেরোক্লিটাস। তিনি গ্রীক দার্শনিক। সঙ্গা পড়ে মাথার তারতুর দুই একটা ছিড়া মনে হতে পারে। কমিউনিকেশন নিয়ে যা বলেছেন তা হল-
"এক নদীতে তুমি দুইবার গোসল করতে পারবা না বৎস, কারণ তুমি এবং পানি দুটোই ভিন্ন হয়ে যাও।"
এর মাঝে কমিউনিকেশনের সঙ্গা আছে কোন দিক দিয়া আপনারাই বলেন? গাজর ছাড়াই গাজরের হালুয়ার মত অবস্থা।
উহু, ক্লাশে ম্যাম যখন বুঝায় দিলেন আমরা অবশেষে হালুয়ার মাঝে গাজর খুজে পেয়েছি।
হেরোক্লিটাম বলতে চেয়েছেন কমিউনিকেশন একটি চলমান প্রকৃয়া, যা কখনও থামে না, ফিরিয়ে নেয়া যায় না, সবসময় পাল্টায়। যে মানুষটা গোসল করতে গেল, তিনি যেমন দ্বিতীয় বার একই বয়সের মানুষ থাকবে না, সময়ের সাথে বয়স বেড়ে যাবে, তেমনি নদীর পানিও বয়ে যাবে, দ্বিতীয়বার নামলে একই পানিকে ফিরে পাওয়া যাবে না। কমিউনিকেশন টা ঠিক তেমনি, প্রেরক এবং গ্রাহকের মন সবসময় পাল্টায়, যত সময় যায় তত তারা জ্ঞানে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়, পাশাপাশি পরিস্থিতিও পাল্টায়। আজ তারা যেভাবে কমিউনিকেশন করল, কাল তারা একই ভাবে করতে পারবে না। কমিউনিকেশন প্রক্রিয়াটা এমনি।
এসব ছাড়াও কমিউনিকেশনের (যোগাযোগের) মাঝে চারটা ব্যাপার থাকে যা ঘটবেই।
কমিউনিকেশন হল পরিবর্তনশীল। এটা শুরু হবার সাথে সাথে পরিবর্তন হতে শুরু করে। একই থাকে না। প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিত্ব, চাহিদা,অনুভূতি, আবেগ প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে চেন্জ হয়। এই কারণে কমিউনিকেশনেও পরিবর্তন ঘটে।
কমিউনিকেশন সবসময় চলতেই থাকে। আমরা যে মনে মনে ভাবি এটাও নিজের সাথে নিজের কমিউনিকেশন। দিনের বেলা তো কমিউনিকেশন আছেই, রাতের বেলা স্বপ্ন দেখি, শব্দ হলেই জেগে উঠি এসবও কমিউনিকেশন। তাই দিন রাত ২৪টা ঘন্টা আমরা কথা বলেই যাচ্ছি। কেউ যদি বলে সে কথা কম বলে তারে এখন থেকে দুইটা চটকানা দিয়া বলবেন আমার সাথে ফাইজলামি! বিশ্বাস না করলে এই লেখাটা পড়তে দিয়ে আরও দুইটা লাগায় দিবেন। :-D
কমিউনিকেশন অফেরত যোগ্য। একবার কারো নামে কিছু উল্টাপাল্টা বলছেন তো সেটা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। যার নামে বলেছেন তার কানে গেলে আপনার প্যাদানি খাওয়া নিশ্চিত। এইটা খেয়াল রাখবেন সবসময়।
শেষেরটা হল কমিউনিকেশনে সবসময় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চলতেই থাকে। আপনি কিছু বলেছেন তো আপনার কথা শুনে আরেকজন দুটো কথা আপনাকে শুনিয়ে দেবেই। সেই দুটো কথা শুনে আপনি কি মিয়া চুপ থাকবেন, আপনার মামাতো বোনের খালাতো জামাই পুলিশের ডেপুটি হাবিলদার আর আপনাকেই কিনা কথা শুনায়, দিলেন আপনিও দুটো কথা শুনিয়ে। সেটা শুনে সেও তেতে উঠে শালা দুলাভাই সম্পর্ক টেনে আনতে শুরু করল আপনাদের মাঝে। এই শুরু হল কথা+কথা+কথা= কমিউনিকেশন । আর এটা না হলে কমিউনিকেশন ঘটেই নাই আপনাদের মাঝে।
এই চারটা না থাকলে কমিউনিকেশন হয় না।
*উক্তিগুলো নিজের মত করে ডাবিং করা। অর্থগত ভুল থাকতে পারে।
**এখানে পুরোটাই আমার মাথায় যা আছে তা, আমার জানার ভুল থাকতে পারে, আমার মাথার বাইরে আরও অনেককিছু আছে।
মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ
Student, Journalism and media studies dept. ,Stamford University Bangladesh
তবুও আমি আজ এসেছি কমিউনিকেশন বিষয়ে কিছু জ্ঞান দান করতে।
প্রথমত আপনাদের বুঝতে হবে কমিউনিকেশন জিনিসটা কি?
"কমিউনিকেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে প্রেরক এবং গ্রাহক কথা বলে বা কথা না বলেই কোন তথ্য, চিন্তা, অভিমত ইত্যাদি আদান প্রদান করে। "
হাহহহহ। পরীক্ষাতে দশে দশ। নাহ বাই, ম্যাম বলছে শুধু সঙ্গা লিখে মঙ্গা ঘুচবে না নাকি। :-/
সাথে মনে রাখতে হবে গুণীজনদের দিয়ে যাওয়া ডায়লগগুলো।
জনাব এরিস্টোটল সাহেব দুনিয়ার এহেন কোন সাবজেক্ট বাকি রাখেন নাই যেখানে তার ডায়লগ রাখেন নাই। কমিউনিকেশনেও এরিস্টোটল এসে হাজির। তার কমিউনিকেশন নিয়ে ডায়লগ হল-
"কমিউনিকেশন হল প্রভাবিত করার সকল প্রকার চেষ্টা।"
কার্ল আই হোভল্যান্ড মৃদু স্বরে বলে গেছেন-
"কমিউনিকেশন একটি প্রকৃয়া, বুঝলা বাজান। যেখানে একজন ব্যক্তি তার উদ্দীপনাকে আরেক ব্যাক্তির কাছে প্রবাহিত করে। "
এবার আসি কে কে সেরেনো এবং সি ডি মরটেনসেন এর ব্যাপারে।এই লোক দুইটা এদেশে জন্মালে কপারে খারাবি ছিল, সবাই কে কে সেরেনোকে কে কে কে করে ক্ষাপাতো আর মরটেনসেন বলতো আপনি মরতেই আছেন, হাই আল্লাহ । যাইহোক তারা বলেছেন-
"কমিউনিকেশন একটি প্রক্রিয়া যেখানে প্রেরক এবং গ্রাহক একটি সামাজিক প্রসঙ্গ আদান প্রদান করে"
য ভ লক্ষণ রায় বলেছেন (আসল নাম ওয়াই ভি লাক্সমানা রাও, অথচ বাংলাটাই কত কিউট)-
"কমিউনিকেশন একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যেখানে তথ্যের প্রবাহ ঘটে, চিন্তার বিকাশ হয় এবং মননের প্রসারণ হয়। "
কমিউনিকেশন নিয়ে অদ্ভুত একটা সঙ্গা দিয়েছেন হেরোক্লিটাস। তিনি গ্রীক দার্শনিক। সঙ্গা পড়ে মাথার তারতুর দুই একটা ছিড়া মনে হতে পারে। কমিউনিকেশন নিয়ে যা বলেছেন তা হল-
"এক নদীতে তুমি দুইবার গোসল করতে পারবা না বৎস, কারণ তুমি এবং পানি দুটোই ভিন্ন হয়ে যাও।"
এর মাঝে কমিউনিকেশনের সঙ্গা আছে কোন দিক দিয়া আপনারাই বলেন? গাজর ছাড়াই গাজরের হালুয়ার মত অবস্থা।
উহু, ক্লাশে ম্যাম যখন বুঝায় দিলেন আমরা অবশেষে হালুয়ার মাঝে গাজর খুজে পেয়েছি।
হেরোক্লিটাম বলতে চেয়েছেন কমিউনিকেশন একটি চলমান প্রকৃয়া, যা কখনও থামে না, ফিরিয়ে নেয়া যায় না, সবসময় পাল্টায়। যে মানুষটা গোসল করতে গেল, তিনি যেমন দ্বিতীয় বার একই বয়সের মানুষ থাকবে না, সময়ের সাথে বয়স বেড়ে যাবে, তেমনি নদীর পানিও বয়ে যাবে, দ্বিতীয়বার নামলে একই পানিকে ফিরে পাওয়া যাবে না। কমিউনিকেশন টা ঠিক তেমনি, প্রেরক এবং গ্রাহকের মন সবসময় পাল্টায়, যত সময় যায় তত তারা জ্ঞানে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়, পাশাপাশি পরিস্থিতিও পাল্টায়। আজ তারা যেভাবে কমিউনিকেশন করল, কাল তারা একই ভাবে করতে পারবে না। কমিউনিকেশন প্রক্রিয়াটা এমনি।
এসব ছাড়াও কমিউনিকেশনের (যোগাযোগের) মাঝে চারটা ব্যাপার থাকে যা ঘটবেই।
কমিউনিকেশন হল পরিবর্তনশীল। এটা শুরু হবার সাথে সাথে পরিবর্তন হতে শুরু করে। একই থাকে না। প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিত্ব, চাহিদা,অনুভূতি, আবেগ প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে চেন্জ হয়। এই কারণে কমিউনিকেশনেও পরিবর্তন ঘটে।
কমিউনিকেশন সবসময় চলতেই থাকে। আমরা যে মনে মনে ভাবি এটাও নিজের সাথে নিজের কমিউনিকেশন। দিনের বেলা তো কমিউনিকেশন আছেই, রাতের বেলা স্বপ্ন দেখি, শব্দ হলেই জেগে উঠি এসবও কমিউনিকেশন। তাই দিন রাত ২৪টা ঘন্টা আমরা কথা বলেই যাচ্ছি। কেউ যদি বলে সে কথা কম বলে তারে এখন থেকে দুইটা চটকানা দিয়া বলবেন আমার সাথে ফাইজলামি! বিশ্বাস না করলে এই লেখাটা পড়তে দিয়ে আরও দুইটা লাগায় দিবেন। :-D
কমিউনিকেশন অফেরত যোগ্য। একবার কারো নামে কিছু উল্টাপাল্টা বলছেন তো সেটা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। যার নামে বলেছেন তার কানে গেলে আপনার প্যাদানি খাওয়া নিশ্চিত। এইটা খেয়াল রাখবেন সবসময়।
শেষেরটা হল কমিউনিকেশনে সবসময় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চলতেই থাকে। আপনি কিছু বলেছেন তো আপনার কথা শুনে আরেকজন দুটো কথা আপনাকে শুনিয়ে দেবেই। সেই দুটো কথা শুনে আপনি কি মিয়া চুপ থাকবেন, আপনার মামাতো বোনের খালাতো জামাই পুলিশের ডেপুটি হাবিলদার আর আপনাকেই কিনা কথা শুনায়, দিলেন আপনিও দুটো কথা শুনিয়ে। সেটা শুনে সেও তেতে উঠে শালা দুলাভাই সম্পর্ক টেনে আনতে শুরু করল আপনাদের মাঝে। এই শুরু হল কথা+কথা+কথা= কমিউনিকেশন । আর এটা না হলে কমিউনিকেশন ঘটেই নাই আপনাদের মাঝে।
এই চারটা না থাকলে কমিউনিকেশন হয় না।
*উক্তিগুলো নিজের মত করে ডাবিং করা। অর্থগত ভুল থাকতে পারে।
**এখানে পুরোটাই আমার মাথায় যা আছে তা, আমার জানার ভুল থাকতে পারে, আমার মাথার বাইরে আরও অনেককিছু আছে।
মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ
Student, Journalism and media studies dept. ,Stamford University Bangladesh
Comments
Post a Comment