কথাটা বলার আগে শুধু হাসি দিয়ে চলল মেয়েটা। যেন এত মজার ব্যাপার যে
বলার আগে কল্পণা করেই ওর খুব হাসি পাচ্ছে। ড্যাবড্যাব করে তাকানোটাও একটা
আর্ট ওকে দেখে শিখেছি। আমি ওকে জ্ঞান বিতরণের সময় ও এমন ড্যাবড্যাব করে
আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি সেরকম ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে তার হাসি
দেখলাম।
তারপর তার হাসির কথাটা বলল।
আবার হাসি। কথাটা খুব মজার ছিল না। আজ এখানে দেখা করতে আসার সময় কিছু বখাটে ছেলে তাকে দেখে কি গান বলে যাচ্ছিল সেটা। মেয়েরা কি উত্তক্ত হয়ে এমন মজা পায়! মানুষের কোডিংএ কি ইভ টিজিং আদিম কাল থেকেই কোড করা! ছেলেরা মেয়েদের উত্তক্ত করবে আর মেয়েরা সে সময়টাকে খারাপ ভাবে নিলেও সেটা নিয়ে পরে হাসাহাসি করবে!
নাকি এটা পুরুষ সমাজের কাছে নারী জাতির অসহায় আত্মসমর্পন। তারা জানে রাস্তায় বেরুলে কিছু ছেলে তাকে দেখে গান গাইবে, কিছু কাপড় ভেদ করা দৃষ্টিতে শকুনের মত চেয়ে থাকবে, কিছু শিষ বাজাবে, কিছু পিছু নেবে, কিছু সুযোগ পেলে গায়েও হাত দিতে পারে। এটা স্বাভাবিক! এটাকে মানিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারাটাই কি বাস্তবতা! কিংবা একে জোক্সে পরিণত করে খিলখিল করে হাসা।
মেয়েটা পরীর মত সুন্দর। হাসির কারণে এত ভয়ানক সুন্দর লাগছে যে মাঝে মাঝে আমার হৃদয় কেঁপে উঠছে। প্রেমে পড়লে নাকি সবই সুন্দর লাগে এটাও হতে পারে। আজ ওর প্রথম বারের মত শাড়ি পরে আসার কথা ছিল। ভাগ্যিস পরে আসেনি। লাল রংয়ের সিম্পলি একটা সালোয়ার কামিজ আর কাধে স্কুল ব্যাগটা নিয়ে এসেছে। কাল রাতে বৃষ্টি হওয়ায় চকচকে সবুজ ঘাসের মাঝে লাল রং এর সালোয়ার কামিজ আরও সুযোগ পেয়ে যেন ফুটে উঠেছে।
আমি একটু কথা ঘুরিয়ে বললাম "তোমাকে সুন্দর লাগছে।"
মেয়েটা ঘাড়ের ব্যাগটা কোলে রেখে বলল "ও ভালত। আগে লাগত না ।"
"না লাগত। তোমাকে একটা সিরিয়াস কথা বলি।"
"বল।"
"রিলেশন নিয়ে কিছু ভাবছ?"
"বুঝলাম না। "
"মানে রিলেশন! সম্পর্ক! তুমি কেমন ছেলে প্রেফার কর এইটা।"
"উমমম... কেমন আবার! ভাল ছেলে।"
"শুধু ভাল ছেলে? ভাল তো অনেক রকম হতে পারে। ধর একটা ছেলে পড়াশোনায় ভাল কিন্তু সিগারেট গাজা খেয়ে আড্ডা দেয় সারাদিন বা কোন নেশা করে না কিন্তু পড়াশোনায় সবার পিছে, আবার এমনও হতে পারে ছেলে ভাল, সবই ঠিক আছে কিন্তু ক্ষাত, সামাজিকতা নাই, আরও অনেক রকম হতে পারে। বুঝছোতো কি বলছি?"
"হুম। আমার.... আমার... আমার.... আমি ঠিক জানি না। "
"জানো জানো বল। তোমার পছন্দ অবশ্যই আছে। "
"উমমম... ছেলেটা ভাল হবে। দেখতে ভাল হতে হবে।আমার টেককেয়ার করবে। পড়াশোনায় ভাল হতে হবে। উমমমমমম... ধনী টাকা পয়সাওয়ালা চাই না। আমাকে যে বুঝবে। "
"আর?"
"আর নাই। "
"ভালবাসা লাগবে না?"
"ও হ্যা হ্যা, অফকোর্স, আমাকে অনেক ভালবাসবে।"
"বুঝলাম।"
"কি?"
"কিছু না। আচ্ছা শোনো "
"বল।"
"বলি""
"হুম বল।"
" মানে... না থাক।"
"বল বল থাকবে কেন বল।"
"বলব?"
"হুম"
"তোমাকে আমার..... ভাল লাগে।মানে বুঝছো তো?"
"কি! বুঝি নাই!"
"তুমি বুঝছো।"
"সত্যি বুঝি নাই।"
"ভাললাগে মানে পছন্দ। পছন্দ করে না মানুষ। আর কি বলি, এবার বুঝছো তো?
"মানে ভালবাসা? এটাকি একটা প্রোপজ?"
"হুম।"
"অ।"
"কি ধরে নেব বললে না?"
"আমি আশা করি নাই, ভাবিও নাই কখনও।"
"এখন ভাবো। "
"সম্ভব না।"
" কেন সম্ভব না। ভাবনা চিন্তার সময়তো দিচ্ছি।"
"সেটা না। তুমি যা বলছো সেটা সম্ভব না।"
"কেন?"
"আমি আজ আসি। এসব নিয়ে আরেকদিন কথা হবে।"
"তোমার যেমন ছেলে পছন্দ তার মাঝে কি আমার কিছু নাই?"
"বললাম না আরেকদিন কথা হবে। এখন আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। "
"অ। আচ্ছা যাও। "
মেয়েটা সবুজ ঘাসগুলো মাড়িয়ে চলে গেল। ইভটিজিংএর জন্য জিনের মাঝে কোডিং করা থাক বা না থাক সঙ্গী নির্বাচনের জন্য ঠিকি করা আছে। সঠিক সময়ে এগুলো জেগে উঠে আমার মত অযোগ্য ছেলেদের হৃদয় পুড়িয়ে দেয়। হৃদয় পোড়ার ব্যাপার গুলো সাধারণত গল্প, কবিতা, গানের মাঝে গুছিয়ে বলা থাকে। কিন্তু বাস্তবের গুলো এত গোছনো থাকে না। কষ্টটা সবাই পায় কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না সবাই। কি বলবে আমি খুব কষ্টে আছি? যাকে বলবে সে তো কষ্টের কিছুই বুঝবে না। না বুঝবে কষ্ট, না বুঝবে যন্ত্রণা। শুধু বলবে যা হইছে হইছে ভুলে যাও। কিন্তু সেই নরম সবুজ ঘাসের উপর চলে যাওটা কি আসলেই ভোলা সম্ভব!? সেগুলো বৃষ্টি পড়লে মনে পড়বে, চাঁদ উঠলে মনে পড়বে, বিছানায় শোয়ার পর লাইট অফ করলে মনে পড়বে। ইশ যদি সে ফিরে আসত-সে তো আসেনি।
তারপর তার হাসির কথাটা বলল।
আবার হাসি। কথাটা খুব মজার ছিল না। আজ এখানে দেখা করতে আসার সময় কিছু বখাটে ছেলে তাকে দেখে কি গান বলে যাচ্ছিল সেটা। মেয়েরা কি উত্তক্ত হয়ে এমন মজা পায়! মানুষের কোডিংএ কি ইভ টিজিং আদিম কাল থেকেই কোড করা! ছেলেরা মেয়েদের উত্তক্ত করবে আর মেয়েরা সে সময়টাকে খারাপ ভাবে নিলেও সেটা নিয়ে পরে হাসাহাসি করবে!
নাকি এটা পুরুষ সমাজের কাছে নারী জাতির অসহায় আত্মসমর্পন। তারা জানে রাস্তায় বেরুলে কিছু ছেলে তাকে দেখে গান গাইবে, কিছু কাপড় ভেদ করা দৃষ্টিতে শকুনের মত চেয়ে থাকবে, কিছু শিষ বাজাবে, কিছু পিছু নেবে, কিছু সুযোগ পেলে গায়েও হাত দিতে পারে। এটা স্বাভাবিক! এটাকে মানিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারাটাই কি বাস্তবতা! কিংবা একে জোক্সে পরিণত করে খিলখিল করে হাসা।
মেয়েটা পরীর মত সুন্দর। হাসির কারণে এত ভয়ানক সুন্দর লাগছে যে মাঝে মাঝে আমার হৃদয় কেঁপে উঠছে। প্রেমে পড়লে নাকি সবই সুন্দর লাগে এটাও হতে পারে। আজ ওর প্রথম বারের মত শাড়ি পরে আসার কথা ছিল। ভাগ্যিস পরে আসেনি। লাল রংয়ের সিম্পলি একটা সালোয়ার কামিজ আর কাধে স্কুল ব্যাগটা নিয়ে এসেছে। কাল রাতে বৃষ্টি হওয়ায় চকচকে সবুজ ঘাসের মাঝে লাল রং এর সালোয়ার কামিজ আরও সুযোগ পেয়ে যেন ফুটে উঠেছে।
আমি একটু কথা ঘুরিয়ে বললাম "তোমাকে সুন্দর লাগছে।"
মেয়েটা ঘাড়ের ব্যাগটা কোলে রেখে বলল "ও ভালত। আগে লাগত না ।"
"না লাগত। তোমাকে একটা সিরিয়াস কথা বলি।"
"বল।"
"রিলেশন নিয়ে কিছু ভাবছ?"
"বুঝলাম না। "
"মানে রিলেশন! সম্পর্ক! তুমি কেমন ছেলে প্রেফার কর এইটা।"
"উমমম... কেমন আবার! ভাল ছেলে।"
"শুধু ভাল ছেলে? ভাল তো অনেক রকম হতে পারে। ধর একটা ছেলে পড়াশোনায় ভাল কিন্তু সিগারেট গাজা খেয়ে আড্ডা দেয় সারাদিন বা কোন নেশা করে না কিন্তু পড়াশোনায় সবার পিছে, আবার এমনও হতে পারে ছেলে ভাল, সবই ঠিক আছে কিন্তু ক্ষাত, সামাজিকতা নাই, আরও অনেক রকম হতে পারে। বুঝছোতো কি বলছি?"
"হুম। আমার.... আমার... আমার.... আমি ঠিক জানি না। "
"জানো জানো বল। তোমার পছন্দ অবশ্যই আছে। "
"উমমম... ছেলেটা ভাল হবে। দেখতে ভাল হতে হবে।আমার টেককেয়ার করবে। পড়াশোনায় ভাল হতে হবে। উমমমমমম... ধনী টাকা পয়সাওয়ালা চাই না। আমাকে যে বুঝবে। "
"আর?"
"আর নাই। "
"ভালবাসা লাগবে না?"
"ও হ্যা হ্যা, অফকোর্স, আমাকে অনেক ভালবাসবে।"
"বুঝলাম।"
"কি?"
"কিছু না। আচ্ছা শোনো "
"বল।"
"বলি""
"হুম বল।"
" মানে... না থাক।"
"বল বল থাকবে কেন বল।"
"বলব?"
"হুম"
"তোমাকে আমার..... ভাল লাগে।মানে বুঝছো তো?"
"কি! বুঝি নাই!"
"তুমি বুঝছো।"
"সত্যি বুঝি নাই।"
"ভাললাগে মানে পছন্দ। পছন্দ করে না মানুষ। আর কি বলি, এবার বুঝছো তো?
"মানে ভালবাসা? এটাকি একটা প্রোপজ?"
"হুম।"
"অ।"
"কি ধরে নেব বললে না?"
"আমি আশা করি নাই, ভাবিও নাই কখনও।"
"এখন ভাবো। "
"সম্ভব না।"
" কেন সম্ভব না। ভাবনা চিন্তার সময়তো দিচ্ছি।"
"সেটা না। তুমি যা বলছো সেটা সম্ভব না।"
"কেন?"
"আমি আজ আসি। এসব নিয়ে আরেকদিন কথা হবে।"
"তোমার যেমন ছেলে পছন্দ তার মাঝে কি আমার কিছু নাই?"
"বললাম না আরেকদিন কথা হবে। এখন আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। "
"অ। আচ্ছা যাও। "
মেয়েটা সবুজ ঘাসগুলো মাড়িয়ে চলে গেল। ইভটিজিংএর জন্য জিনের মাঝে কোডিং করা থাক বা না থাক সঙ্গী নির্বাচনের জন্য ঠিকি করা আছে। সঠিক সময়ে এগুলো জেগে উঠে আমার মত অযোগ্য ছেলেদের হৃদয় পুড়িয়ে দেয়। হৃদয় পোড়ার ব্যাপার গুলো সাধারণত গল্প, কবিতা, গানের মাঝে গুছিয়ে বলা থাকে। কিন্তু বাস্তবের গুলো এত গোছনো থাকে না। কষ্টটা সবাই পায় কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না সবাই। কি বলবে আমি খুব কষ্টে আছি? যাকে বলবে সে তো কষ্টের কিছুই বুঝবে না। না বুঝবে কষ্ট, না বুঝবে যন্ত্রণা। শুধু বলবে যা হইছে হইছে ভুলে যাও। কিন্তু সেই নরম সবুজ ঘাসের উপর চলে যাওটা কি আসলেই ভোলা সম্ভব!? সেগুলো বৃষ্টি পড়লে মনে পড়বে, চাঁদ উঠলে মনে পড়বে, বিছানায় শোয়ার পর লাইট অফ করলে মনে পড়বে। ইশ যদি সে ফিরে আসত-সে তো আসেনি।
Comments
Post a Comment