গত বছর সদ্য এইচ এস সি পাশ করিয়াছি। তখন এক নিকট বন্ধুর রিলেশন তুমুল গতিতে চলিতেছিল।
একদিন তাকে তার রিলেশন নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করিলাম, "মনে আঘাত নিও না বন্ধু, তোমাদিগকের রিলেশন আগামী এক বৎসরের মাঝেই টুটিয়া যাইবে।লিখিয়া রাখো উক্তিখানা। "
তিনি ঘাড় বাঁকিয়া উচ্চস্বরে বলিয়াছিলেন , "আমাদিগকের রিলেশন অন্য আর দশখানা রিলেশনের সহিত মিলাইওনা। আমোরা অনেক জল ঘোলা করিবার পরও রিলেশন টিকিয়া রাখিয়াছি।"
আমি ইহা শুনিয়া চঞ্চু বাঁকা করিয়া বলিয়াছিলাম, "বালক রোসো রোসো, রিলেশন ভুতপূর্ব অতীত মানিয়া চলে না। ঘটমান বর্তমান মানিয়াও চলে না। ভবিষ্যত বরের ভবিষ্যৎ ঠিক আছে কিনা নামক একখানা বায়বীয় রথে চলাচল করে। "
তিনি বলিলেন, "বুঝি নাই।"
প্রেমে মজিলে না বোঝারই কথা। আমি তাহাকে একটু খুলিয়া বলিলাম "দেখো তুমি যাহাকে বিশ্বাস করিতেছো, প্রণয়ে আবধ্য হইয়াছো তাহার হরমোন নামক একখানা সরেশ অঙ্গাণু রহিয়াছে। ধরি তুমি রিলেশন টিকিয়া রাখিবার নিমিত্তে অতিশয় নীচুকাজ করিতেও রাজি কিন্তু তোমার দুহিতা (জিঅ্যাপ) সময়ে সময়ে পরিবর্তন হইবে। আজ তাহার নিকট তুমি ইম্পর্টেন্ট, কাল বাবা মা ইম্পোর্টেন্ট হইতে পারে, পরশু হয়ত তাহার পড়াশুনা করিয়া ভাল ফলাফল করাকে ইম্পর্টেন্ট মনে হইতে পারে। তাহার হরমোন যেদিকে ধাবিত করিবে সে সেদিকে যাইবে। বিলিব ইট অর নট। তোমার ভবিষ্যৎ যত আঁধার হইবার সম্ভাবনা জাগিবে তাহার বাস্তবতা দেখো, বিজি ছিলাম জাতীয় কথাও বাড়িয়া উঠিবে। ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায কার কি হইবে বলা যায না। "
তিনি দাঁত কপাটি বার করিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন "তুমি আমার হবু কলত্র (বউ)কে জানো না। সে যেমনি সুশীলা তেমনি বটের ন্যায় বৃহত হৃতপিন্ডের অধিকারিণী। সে আমার সহিত ছায়াহীন ইউক্যালিপ্টাস গাছের নিচে বাস করিতেও রাজি আছে। সব মেয়েকে এক ভাবিলেতো চলিবেনা ব্রো।"
আমি বলিলাছিলাম "তা সঠিক, সব নারী চরিত্র এক নহে।হিমুর রু পার সাথে তসলিমা নাসরিনকে গুলাইলে চলিবে না। আমিও চাই তোমাদিগকের রিলেশন আরো সাড়ে চার বছর টিকুক। ভার্সিটির ফাস্ট, সেকেন্ড ইয়ার গুলোতে সুশ্রী মেয়ে পাওয়া একটু কঠিন বলিয়া শুনিযাছি। "
তিনি আমার বক্তব্য বিশ্বাস করিলেন না। তিনি বলিলেন "দেখা যাইবে। ইস্পাতের ন্যায় কঠিন এই রিলেশন কখনই ভাঙিবে না দেখিও। "
আমি বুঝাইতে না পারিয়া হতাশ হইয়া বলিয়াছিলাম "হউক, দেখা যাইবে। "
.
এক বৎসর পার হইল। ছেলে একটি নামকরা পাবলিকে চান্স পাইয়াছেন। তার চালচলন বদলাইয়াছে। তাহাকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিতে পারিলাম সেই মেয়ের সাথে তিনি দীর্ঘদিনযাবত কথা বলেন না। কারণ হইল তেনাকে আর ভাল লাগে না। মেয়ে কথা বলিতে অনেক চেষ্টা করে কিন্তু আমার বন্ধুবরের আজাইরা কর্মের সময় নাই।আমি বলিলাম তোমাদিগকের তো ব্রেকআপ হইয়াছে! সে অস্বীকার করিয়া বলিল না না ব্রেকআপ হইবে কেন? আমি বলিলাম ব্রেকআপ কি কাজি ডেকে রেজিষ্ট্রি করে হয় নাকি! আর ব্রেকআপ করিয়াছো তুমি, মেয়ের কোন দোষ নাই। সে হাসিয়া বলিল পাষ্ট ইজ পাষ্ট।
একদিন তাকে তার রিলেশন নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করিলাম, "মনে আঘাত নিও না বন্ধু, তোমাদিগকের রিলেশন আগামী এক বৎসরের মাঝেই টুটিয়া যাইবে।লিখিয়া রাখো উক্তিখানা। "
তিনি ঘাড় বাঁকিয়া উচ্চস্বরে বলিয়াছিলেন , "আমাদিগকের রিলেশন অন্য আর দশখানা রিলেশনের সহিত মিলাইওনা। আমোরা অনেক জল ঘোলা করিবার পরও রিলেশন টিকিয়া রাখিয়াছি।"
আমি ইহা শুনিয়া চঞ্চু বাঁকা করিয়া বলিয়াছিলাম, "বালক রোসো রোসো, রিলেশন ভুতপূর্ব অতীত মানিয়া চলে না। ঘটমান বর্তমান মানিয়াও চলে না। ভবিষ্যত বরের ভবিষ্যৎ ঠিক আছে কিনা নামক একখানা বায়বীয় রথে চলাচল করে। "
তিনি বলিলেন, "বুঝি নাই।"
প্রেমে মজিলে না বোঝারই কথা। আমি তাহাকে একটু খুলিয়া বলিলাম "দেখো তুমি যাহাকে বিশ্বাস করিতেছো, প্রণয়ে আবধ্য হইয়াছো তাহার হরমোন নামক একখানা সরেশ অঙ্গাণু রহিয়াছে। ধরি তুমি রিলেশন টিকিয়া রাখিবার নিমিত্তে অতিশয় নীচুকাজ করিতেও রাজি কিন্তু তোমার দুহিতা (জিঅ্যাপ) সময়ে সময়ে পরিবর্তন হইবে। আজ তাহার নিকট তুমি ইম্পর্টেন্ট, কাল বাবা মা ইম্পোর্টেন্ট হইতে পারে, পরশু হয়ত তাহার পড়াশুনা করিয়া ভাল ফলাফল করাকে ইম্পর্টেন্ট মনে হইতে পারে। তাহার হরমোন যেদিকে ধাবিত করিবে সে সেদিকে যাইবে। বিলিব ইট অর নট। তোমার ভবিষ্যৎ যত আঁধার হইবার সম্ভাবনা জাগিবে তাহার বাস্তবতা দেখো, বিজি ছিলাম জাতীয় কথাও বাড়িয়া উঠিবে। ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায কার কি হইবে বলা যায না। "
তিনি দাঁত কপাটি বার করিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন "তুমি আমার হবু কলত্র (বউ)কে জানো না। সে যেমনি সুশীলা তেমনি বটের ন্যায় বৃহত হৃতপিন্ডের অধিকারিণী। সে আমার সহিত ছায়াহীন ইউক্যালিপ্টাস গাছের নিচে বাস করিতেও রাজি আছে। সব মেয়েকে এক ভাবিলেতো চলিবেনা ব্রো।"
আমি বলিলাছিলাম "তা সঠিক, সব নারী চরিত্র এক নহে।হিমুর রু পার সাথে তসলিমা নাসরিনকে গুলাইলে চলিবে না। আমিও চাই তোমাদিগকের রিলেশন আরো সাড়ে চার বছর টিকুক। ভার্সিটির ফাস্ট, সেকেন্ড ইয়ার গুলোতে সুশ্রী মেয়ে পাওয়া একটু কঠিন বলিয়া শুনিযাছি। "
তিনি আমার বক্তব্য বিশ্বাস করিলেন না। তিনি বলিলেন "দেখা যাইবে। ইস্পাতের ন্যায় কঠিন এই রিলেশন কখনই ভাঙিবে না দেখিও। "
আমি বুঝাইতে না পারিয়া হতাশ হইয়া বলিয়াছিলাম "হউক, দেখা যাইবে। "
.
এক বৎসর পার হইল। ছেলে একটি নামকরা পাবলিকে চান্স পাইয়াছেন। তার চালচলন বদলাইয়াছে। তাহাকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিতে পারিলাম সেই মেয়ের সাথে তিনি দীর্ঘদিনযাবত কথা বলেন না। কারণ হইল তেনাকে আর ভাল লাগে না। মেয়ে কথা বলিতে অনেক চেষ্টা করে কিন্তু আমার বন্ধুবরের আজাইরা কর্মের সময় নাই।আমি বলিলাম তোমাদিগকের তো ব্রেকআপ হইয়াছে! সে অস্বীকার করিয়া বলিল না না ব্রেকআপ হইবে কেন? আমি বলিলাম ব্রেকআপ কি কাজি ডেকে রেজিষ্ট্রি করে হয় নাকি! আর ব্রেকআপ করিয়াছো তুমি, মেয়ের কোন দোষ নাই। সে হাসিয়া বলিল পাষ্ট ইজ পাষ্ট।
Comments
Post a Comment