এক্সট্রভার্ট ও ইন্ট্রোভার্ট কীভাবে চিনবেন? কেন ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের মানুষদের বৈশিষ্ট্য অন্তর্মুখী হয়?
ধরুন আপনার পরিচিত কেউ সবসময়ই কম কথা বলে। দরকার ছাড়া কথা বলে না। কোনো সামাজিক প্রোগ্রামের যাবার কথা বললে না করে, বিয়েতে যেতে চায় না, ট্যুরে বন্ধুদের সাথে যেতে চায় না। মনে হতে পারে তার কোনো মানসিক রোগ রয়েছে।
একাকিত্ব দূর করার উপায় হিসেবে আমরা যখন কোন পরিকল্পনা করছি তখন কোনো এসবে এই অন্তর্মুখী মানুষগুলোর কেন এত অনাগ্রহ? সারা দিন বাসায় একা থাকতে পারে কেউ?
এক্সট্রভার্ট ও ইন্ট্রোভার্ট শব্দগুলোর সাথে সম্ভবত পরিচিত আপনি। না থাকলেও সমস্যা নেই। আমরা সামনেই এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এখন এমন করে কি পাচ্ছে সেই উত্তরটা জেনে নিন।
আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজে এনার্জি খরচ হয়, আমরা ক্লান্ত হই। রেস্ট নেই মানে এনার্জি আবার ফিরে আসার অপেক্ষা করি। কখনও নেগেটিভ চিন্তা দূর করার উপায় হিসেবেও রেস্ট নেই। যখন স্বাভাবিক লাগে তখন আবার কাজ করি। এখন এই এনার্জি খরচ হবার বিষয়টি মানুষে মানুষে পার্থক্য আছে। কেউ বাইরের অচেনা পরিবেশে সারাদিন কথা বললেও একটুও ক্লান্ত হয় না আবার কেউ শুধু অচেনা কয়েকজনকে ফোনে কিছু বলতে গেলেই হাপিয়ে যায়, মনে হয় বড় কোন কাজ করে ফেলেছে। প্রথম মানুষটা এক্সট্রোভার্ট যার বাইরে মানুষের সাথে মিশলে, হৈহল্লা করলে, আড্ডা দিলে এনার্জি খুঁজে পায়, একা থাকলে হাপিয়ে ওঠে। অন্যদিকে দ্বিতীয় মানুষটা যে ফোনে কথা বলতেই হাপিয়ে যায় সে ইন্ট্রোভার্ট। তার কাছে কনসার্ট, স্টেডিয়ামে খেলা দেখা, বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বড় পরিশ্রমের কাজ, বরং একা থাকলে তার কোন খারাপ লাগা কাজ করে না। তাকে যদি বই লিখতে দিন সে হয়ত প্রথমেই লিখবে "একা খুশি থাকতে শিখুন"।
কীভাবে ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের মানুষ চিনবেন? এটাই হল তাদের স্বভাব। ইন্ট্রোভার্ট এবং লাজুক কি একই বিষয়? উত্তর হল না। তারা জেনেশুনেই এভাবে সময় কাটাতে পারে।
ইন্ট্রোভার্টদের বৈশিষ্ট্য এখন বুঝলেন। এখন আপনার বন্ধুটি ইন্ট্রভার্ট, ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের মানুষদের ভালো গুণ হল তারা জোরাজুরি করে না। কিন্তু আপনি তার ভালো ভেবে জোর করে তাকে টেনে নিয়ে যাবেন না কোথাও, তাতে সে সবার মাঝে একা ফিল করবে। বরং তাকে আপনার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করুন, গল্প শোনান। আপনার বন্ধুটি সেগুলো কল্পনা করে যত আনন্দ পাবে তা আপনি ইউরোপ আমেরিকা ঘুরিয়েও দিতে পারবেন না।
Comments
Post a Comment