Skip to main content

অতিথি

অতিথি লক্ষী না কি যেন একটা প্রবাদ আছে। আমার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টা এটা। অতিথি এলেই একটা না একটা প্যাঁচ লাগে আমার এখানে।

নতুন বাসায় ওঠার পর বাসা দেখতে প্রথম এল বন্ধু Mahmud Hasan । একঘন্টা জ্যামে বসে থেকে গরমে অতিষ্ট হয়ে আসার পর রুমে বসেই প্রথম কথা "ফ্যান দে। "
আমি ছাদের দিকে করুন মুখে তাকালাম। ছাদ থেকে দুটো প্লাস মাইনাস তার বেরিয়ে। ফান মেঝেতে এককোনায় শুয়ে আছে। বাসায় ওঠার তিন চারদিন হলেও আলসেমিতে ফ্যান লাগানো হয় নাই। শেষ পর্যন্ত মুন্না নিজে টেবিল চেয়ার জোড়া দিয়ে ফ্যান লাগিয়ে দিয়ে গজগজ করতে করতে বিদায় নিলো।

তারপর অতিথি হয়ে এল বন্ধু Bisal । বিশাল এল, ফ্যান দিলাম। বিশাল গোসল করতে গেল ফ্যান বন্ধ করলাম। গোসল করে এল, এবার ফ্যান দিলাম। কিন্তু ফ্যান আর ঘোরে না। এই গরমে অতি কষ্টে থাকা শুরু করল বন্ধুবর। আমি আজ নামাবো, কাল নামাবো করি কিন্তু ফ্যান আর নামানো হয় না। ঠিকও করা হয় না। বিশাল অতি বেদনায় হাসি মুখ করে থাকে। তার গার্লফ্রেন্ড ফোন করে। সে হাসি হাসি মুখে বলে অতি সুখে আছি। আমি ভাবি কিছু একটা করা দরকার। অনেক ভেবে চিন্তে সহজ সমাধান হিসেবে গোসলের জন্য আইসকুল সাবান কেনা হল-"গরমকে ছুটিতে পাঠান, শরীরে এসি লাগান"। ফ্যানের বদলে এসি খারাপ না। বিশাল চলে যাবার আগে বলতে চাইলাম ওকে "ফ্যানতো এই ঠিক হল বলে, ভাল কিছু তো খাওয়াতে পারিনি আর কটা দিন থেকে ফ্যানের বাতাসটা অন্তত খেয়ে যা।" বলা হয় নাই যদিও।

পুরো দাওয়াত দিয়ে আনা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইটগার্ড বন্ধু (রাত জেগে টিএসসিতে ঘুরে সে নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাহারা দেয়) রাজিন কে । রাজিন ঠিকি এল কিন্তু বুয়া সেদিন এল না। কপালের নাম গোপাল। সেদিন ১লা মে, বিশ্ব শ্রমিক দিবস। সব দোকান পাট বন্ধ। আমি পড়লাম মহা বিপদে, বেচারাকে সকাল থেকে না খাইয়ে রেখেছি। অবশেষে এক চিপায় এক হোটেল পেলাম। "মান জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিবেন না" টাইপ। বেচারা খেয়ে ফুটপাতেই বসে পড়ল। তিন ঘন্টা বসে থেকে ওখান থেকেই বিদায় নিলো।

তারপর এল তমাল ভাই। এবার ফ্যান ঠিক ছিল। সমস্যা অন্য খানে। সেদিন বাসায় গেষ্ট দিয়ে ভর্তি। ফলাফল এই গরমে তিনজন। উনি প্রায় সারারাত জেগে থেকে সকাল ছয়টায় বেরিয়ে গেছেন।

সর্বশেষ এল Shubho । এক ব্যাচ সিনিয়র। বন্ধু হিসেবেই চলি। সে গত কাল এল আজ চলে গেল। বুয়া এল না। গতকাল বাইরে খেলেও আজ রান্না করতে হল। আমার রান্নার প্রতিভা খুব ভাল। যে খায় সে অার ভুলতে পারে না। শুভ এর আগেও আমার রান্না খেয়েছে। শুভকে কিছু না বলে নিজেই রান্না করে ওকে দিলাম। শুভ মুখে দিয়ে বলল তুমি রান্না করছ তাই না? আমার রান্না শুভ মনে রাখছে ভেবেই গর্বে বুক ভরে উঠল। আমি খুশি খুশি ভাব নিয়ে বললাম ওই আর কি! শুভ তেতো অষুধ খেলে যেমন মুখ করে সেমন মুখ করে বলল আমাকে বলতা আমি রান্না করতাম! এক্সপ্রেশন দেখে বুঝলাম আমার প্রতিভা এত কেন সবাই মনে রাখে।

যাই হোক আমার এখানে সবাইকে স্বাগতম।

Comments

Popular posts from this blog

Abar ( আবার ) Lyrics - Minar Rahman

Abar ( আবার ) Lyrics - Minar Rahman তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারন হবে ?  তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বাড়ন হবে ? দেবো না জল আসতে চোখে ,  কোনদিনও আর ,  আর একটি বার দাও যদি জল মোছার অধিকার । তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারন হবে?  তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বাড়ন হবে ?  আমি তোমার নতুন ভোরের সূর্য হতে চাই ,  আমি আবার তোমার আসার প্রদীপ হতে চাই ।  দেবো না জল আসতে চোখে,  কোনদিনও আর,  আর একটি বার দাও যদি জল মোছার অধিকার ।  তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারন হবে?  তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বাড়ন হবে?  মুছে ফেলো অভিমানের দাগটি তুমি এবার,  হাসির আলো,  আমায় করো আলোকিত আবার । দেবো না জল আসতে চোখে,  কোনদিনও আর,  আর একটি বার দাও যদি জল মোছার অধিকার।  তুমি কি আমার হাসি সুখের আবার কারন হবে?  তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বাড়ন হবে? Song: Abar Singer: Minar Lyrics: Snahashish Ghosh Music: Rezwan Sheikh Cast: Siam & Saira DOP: Suman Sarker Direction: Mahmudur Rahman Hime Asst director team: Emran Robin, Dipto...

Bangladeshi Movie Download Sites (বাংলাদেশী মুভি ডাউনলোড)

NEXTGEN BD - http://180.200.238.22/ Orangebd- orangebd home bd http://103.3.226.206/ Bangla Movie Download Sites new bangla movie Bangladeshi movies

এই. রাস্তা গুলো লাগে বড় অচেনা Lyrics [Bangla] | ai rasta gulo lage | দেবী (debi) by ADNAN ASHIF | bangla new song 2018

এই. রাস্তা গুলো লাগে বড় অচেনা. আকাশটার সাথে নাই জানাশোনা... এই. রাস্তা গুলো লাগে বড় অচেনা. আকাশটার সাথে নাই জানাশোনা... আমি তোর. প্রেমেতে অন্ধ  ছিলো চোখ কান সব বন্ধ..... থেমে গেছে জীবনের লেনাদেনা...................... সেই পুরোনো রাস্তাটায়.  আজ একা একা হেটে  যাই  হচ্ছনা হিসাবের বনিবনা...  এখন এমনি করে  ভালো  কেমন করে বাসি অন্য কোনো পাখিকে ।।।।। তার চেয়ে ভালো ছিল তুই নিজ হাতে খুন করে.. যেতি,,,,  আমাকে......... এই দুপুর রোদের ভিড়ে  একটু খিদে পেলে  তোর  নাম্বারটায় ফোনতো আর ঢোকেনা...  তুই তো জানিস  ঠিক  তুই ছাড়া আমার  মুখের অমৃতটাও একা  রোচেনা.....  মাঝরাতে তোর SMS er Tone  আমার গভীর  ঘুম টাকে আর ভাঙ্গায় না ব্যস্ত নগড়ে  আমার বুকের গভীরে  তোর মাথা রাখা মনটাকে রাঙ্গায় না,,,,,  এখন এমনি শত যন্ত্রনা  কেমনি করে বলি  অন্য কোনো সাথীকে,,,,,  তার চেয়ে ভালো ছিল তুই নিজ হাতে খুন করে.. যেতি,,,,  কতনা ভাল হত তু্ই আসতি যদি ফিরে স্বপ্ন দিয়...