কেউ আবেগে খিলখিল করে হাসে।
কেউ আবেগে মিটমিট করে হাসে।
কেউ আবেগে ইমোশনাল হয়। :-P
কেউ আবেগে কেঁদে ফেলে।
আর আমি, এই আমি, একজন বিশিষ্ট অভাগা, আবেগে স্টাটাস দিয়ে ফেলি। "নুতুন হেডফুন কিনসি..." স্টাটাসটি বিরাট আবেগের বশবর্তী হয়ে দেয়া। এই আবেগকে হয়ত অনেকে অনেক কিছু মনে করতে পারেন। কেউ আবেগীয় লুলু পুরুষও ভেবে বসতে পারেন। কেউ বাংলাভাষার বিকৃতি বিষয়ক স্টাটাস হিসেবে স্কিনশটও নিয়ে ফেলতে পারেন।
যাইহোক, লাইনে আসি, আপনি সারাদিন দৌড়াদৌড়ি, ক্লাশ, ডেটিং ফেটিং শেষে এখন বিরাট ক্লান্ত (রুম ডেটিং করা লুচুরা একটু বেশি ক্লান্ত)। আসেন কিছু সুখদুখের গপসপ করি।
গল্পের শুরুটা হয় আমার সনির ইয়ারফোন বন্ধু নির্ঝরকে ধার দেয়ার মধ্য দিয়ে।
সেদিন ছিল বর্ষার এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিন। বন্ধু নির্ঝরের গান শোনার শখ উঠল। আমার কাছ থেকে ইয়ারফোন ধার নিয়ে সে কাথা মুড়ি দিয়ে গান শুনতে লাগল। (ওই ছিল সেই ইয়ারফোনের সাথে আমার শেষ দেখা। :-( :( )
এরপর কেটে গেল কয়েকদিন। ল্যাপটপের গোবদা হেডফোন বের করে গান শোনা শুরু করলাম এরপর থেকে।কিছুদিনপর দেখি একটায় গান বাজে আরেকটায় বাজে না। গোড়ায় সমস্যা।তারের ভেতরে কানেকশন ছিড়ে গেছে। এরকম এর আগের হেডফোনগুলোতেও হয়েছিল। অনেক ঘোরাঘুরি, টানাটানি করেও ঠিক হল না। অবশেষে বাঙ্গালি স্টাইলে থাব্রাথাব্রি করলাম কিছুক্ষণ। মাইরের উপর কুন অষুধ নাই। তবে অষুধটা মনে হয় ওভার ডোজ হয়ে গিয়েছিল। হেডফোন আজীবনের জন্য সাইলেন্ট মুডে চলে গেল। যেটা টুংটাং করছিল সেটাও বাজে না।
বান্ধবীদের কাছে ছ্যাকা খেয়ে কিশোর বয়স পার হওয়া সদ্য যুবকেরা যেমন একদিনেই ঘোর নারী বিদ্বেষী হয়ে যায়, আমি তেমন একদিনেই হেডফোনের "তার" বিদ্বেষী হয়ে গেলাম। হেডফোনের গোড়াই রাখব না এবার। কিনবো ব্লুটুথ হেডফোন। ব্লুটুথের গোড়াই নাই নষ্ট হবি কি তাহলে এবার? মুহুহাহাহা...
ব্লুটুথ হেডফোন কিনতে একজন 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' , খালিদ ভাই আর আমি মিলে গেলাম IDB তে। মোটামুটি বিরাট অংকের অর্থ ব্যয় করেই ব্লুটুথ হেডফোন নিলাম একখানা (বিরাট অংকের পরিমাণ জিজ্ঞাস করিয়া কতৃপক্ষকে বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন, বিরাট অংক প্রকাশ পাইলে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ সহ নানারূপ সিডর, আইলা আসার সম্ভাবনা রহিয়াছে)।
ব্লুটুথ হেডফোন কেনার বিমলান্দে সবাই মিলে কয়েকটা ভি চিহ্নিত সেলফিও তোলা হল। হেডফোন কেনার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুপচাপ ছিল। টাকা পেইড করে বের হতেই বলল "এটা কিনা ঠিক হইল না তোর, বেশি দিন টিকবো না। গানও তো ক্লিয়ার না। :3 :3 "
হেডফোন কেনার সময় তিনি আইডিবির সিড়ির নিচে দাঁড়ায় নারী অবলোকন করিতেছিলেন। আমি হতভম্ব হয়ে বললাম "কেনার আগে বললি না কেন?"
মহাশয় তার উত্তর না দিয়া বলিলেন "দেখছিস আইডিবির নারীরা বসুন্ধরার নারীদের চেয়ে কত সুশ্রী। ওইটারে দেখ। "
আমি মুখ কালো করে আমার হেডফোনের প্যাকেটের দিকে তাকালাম। এত্তগুলা টাকা কি তবে বুড়িগঙ্গার কালো জলে তলিয়ে গেল! :-(
তারপর কেটে গেল দু তিন মাস । গ্রামের বাসায় থাকি এরমাঝে। হেডফোন কানে লাগিয়ে রাস্তায় হাঁটলে যেন মাটিতে আর পা পড়ে না। কানে ব্লুটুথ হেডফুন,বাপরে বাপ, ভাবই আলাদা। যত্নের সাথে ইউজ করছিলাম বলে মনে হয় কিছু হয় নি ততদিনে। ভালই চলছিল। এরপর সেটাকে নিয়ে ঢাকায় এলাম। ব্যাগখুলে দেখি দু টুকরো হয়ে আছে আমার সাধের ভাবওয়ালা হেডফোন। :-( :-(
এবার খালিদ ভাইয়ের কাছে তার হেডফোন ধার নিলাম। খালিদ ভাইকে বিশাল হৃদয়ের মানুষ ভেবেছিলাম। মাথা থেকে পা, পুরোটাই হৃদয়। তার দয়ার শরীর। বিনা দ্বিধায় কেমন হেডফোন দিয়ে দিলেন।
উহু।ওসব কিচ্ছু না। শুনলাম উক্ত হেডফোন সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির থেকে তিনি উল্টো ধার নিয়ে বসে আছেন।ধারের জিনিস ধার দেয়ার মজাই মনে হয় আলাদা। সেই মজাটা তিনি নিয়ে মিটিমিটি হাসলেন। আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি তারপরদিন এসে আমার থেকে নিয়ে গেলেন সেটা।
আমি আবার একা হয়ে গেলাম। হেডফোন ছাড়াই লাউডস্পিকারে দিন চলতে লাগল।
রাতে অার ঠিকমত ঘুম আসে না। পড়া হয় না।
না, না, আমার না। আমার রুমমেট বড় ভাইয়ের। তার সামনে বিসিএস পরীক্ষা ছিল। :-(
এসব দেখে অবশেষে বিল্পবী সিদ্ধান্ত নিলাম। নাহ, এ জীবনে আরেকবার হেডফোন কিনতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল চারটায় ভাল মনে বের হলাম আমি আর তমাল ভাই (আরেকজন বড় ভাই)। নিউমার্কেট, এলিফেন্টরোডের মার্কেট সব তছনস করে তিনি আমার হাতে তার একটা শার্টের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে হাপাতে হাপাতে বললেন "আজ যথেষ্ঠ কেনাকাটা হয়েছে। একটা ফুলপ্যান্ট কিনবো ভাবছিলাম।কিন্তু সময় নাই আর। চলো চলে যাই। "
হেডফোন কেনা বুঝি আর হয় না।
তখন বাজে সন্ধ্যে ছয়টা। আইডিবি বন্ধ হয় আটটার সময়। যেতে যেতে ঢাকার জ্যামে সাতটা পেরিয়ে যাবে। তবু আমার মনে তখনও হেডফোন কেনার সুপ্তবাসনা। তমাল ভাইকে বিদায় দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুককে ফোন দিলাম। এবার কিনবো তো কিনবোই তার সামনে কিনবো।
এবং রওনা দিয়ে বাস লেগুনা কোন কিছু না পেয়ে, অর্ধেক হেঁটে, অর্ধেক রিকশায় IDB ভবনে পৌছুলাম রাত পৌনে আটটায়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক যথারীতি চলমান সিড়ির নিচে দাঁড়াতে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার তাকে সে সুযোগ না দিয়ে তাকে নিয়ে হেডফোন খুজতে লাগলাম। দোকানগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটা বন্ধই হয়ে গেছে। এই বুঝি আর কেনা হয় না।
কিন্তু না, অর্ধেক ঝাপ ফেলানো একটা প্রায় বন্ধ দোকান থেকে অবশেষে হেডফোন কিনলাম। আমার হেডফোন! নিজের হেডফোন! পাইলাম, আমি যেন অবশেষে উহাকে পাইলাম।
অতঃপর বাসায় এসে আবেগে পড়ে আপনাদের মাঝে ঘোষনাই দিয়ে ফেললাম "নুতুন হেডফুন কিনসি..."।
এবার বুঝলেনতো হেডফোন কেনার পেছনে আমার ইতো আবেগ ক্যান!!!
[ফুটনোট-
মাস খানেক আগে বন্ধু নির্ঝরকে আমার প্রদেয় ইয়ারফোনের কথা জানতে চাইলাম।
তিনি বললেন "ঠিক কোন ইয়ারফোনের কথা বলছিস বলত!!!?"
:-( :-( :-( ]
কেউ আবেগে মিটমিট করে হাসে।
কেউ আবেগে ইমোশনাল হয়। :-P
কেউ আবেগে কেঁদে ফেলে।
আর আমি, এই আমি, একজন বিশিষ্ট অভাগা, আবেগে স্টাটাস দিয়ে ফেলি। "নুতুন হেডফুন কিনসি..." স্টাটাসটি বিরাট আবেগের বশবর্তী হয়ে দেয়া। এই আবেগকে হয়ত অনেকে অনেক কিছু মনে করতে পারেন। কেউ আবেগীয় লুলু পুরুষও ভেবে বসতে পারেন। কেউ বাংলাভাষার বিকৃতি বিষয়ক স্টাটাস হিসেবে স্কিনশটও নিয়ে ফেলতে পারেন।
যাইহোক, লাইনে আসি, আপনি সারাদিন দৌড়াদৌড়ি, ক্লাশ, ডেটিং ফেটিং শেষে এখন বিরাট ক্লান্ত (রুম ডেটিং করা লুচুরা একটু বেশি ক্লান্ত)। আসেন কিছু সুখদুখের গপসপ করি।
গল্পের শুরুটা হয় আমার সনির ইয়ারফোন বন্ধু নির্ঝরকে ধার দেয়ার মধ্য দিয়ে।
সেদিন ছিল বর্ষার এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিন। বন্ধু নির্ঝরের গান শোনার শখ উঠল। আমার কাছ থেকে ইয়ারফোন ধার নিয়ে সে কাথা মুড়ি দিয়ে গান শুনতে লাগল। (ওই ছিল সেই ইয়ারফোনের সাথে আমার শেষ দেখা। :-( :( )
এরপর কেটে গেল কয়েকদিন। ল্যাপটপের গোবদা হেডফোন বের করে গান শোনা শুরু করলাম এরপর থেকে।কিছুদিনপর দেখি একটায় গান বাজে আরেকটায় বাজে না। গোড়ায় সমস্যা।তারের ভেতরে কানেকশন ছিড়ে গেছে। এরকম এর আগের হেডফোনগুলোতেও হয়েছিল। অনেক ঘোরাঘুরি, টানাটানি করেও ঠিক হল না। অবশেষে বাঙ্গালি স্টাইলে থাব্রাথাব্রি করলাম কিছুক্ষণ। মাইরের উপর কুন অষুধ নাই। তবে অষুধটা মনে হয় ওভার ডোজ হয়ে গিয়েছিল। হেডফোন আজীবনের জন্য সাইলেন্ট মুডে চলে গেল। যেটা টুংটাং করছিল সেটাও বাজে না।
বান্ধবীদের কাছে ছ্যাকা খেয়ে কিশোর বয়স পার হওয়া সদ্য যুবকেরা যেমন একদিনেই ঘোর নারী বিদ্বেষী হয়ে যায়, আমি তেমন একদিনেই হেডফোনের "তার" বিদ্বেষী হয়ে গেলাম। হেডফোনের গোড়াই রাখব না এবার। কিনবো ব্লুটুথ হেডফোন। ব্লুটুথের গোড়াই নাই নষ্ট হবি কি তাহলে এবার? মুহুহাহাহা...
ব্লুটুথ হেডফোন কিনতে একজন 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' , খালিদ ভাই আর আমি মিলে গেলাম IDB তে। মোটামুটি বিরাট অংকের অর্থ ব্যয় করেই ব্লুটুথ হেডফোন নিলাম একখানা (বিরাট অংকের পরিমাণ জিজ্ঞাস করিয়া কতৃপক্ষকে বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন, বিরাট অংক প্রকাশ পাইলে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ সহ নানারূপ সিডর, আইলা আসার সম্ভাবনা রহিয়াছে)।
ব্লুটুথ হেডফোন কেনার বিমলান্দে সবাই মিলে কয়েকটা ভি চিহ্নিত সেলফিও তোলা হল। হেডফোন কেনার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুপচাপ ছিল। টাকা পেইড করে বের হতেই বলল "এটা কিনা ঠিক হইল না তোর, বেশি দিন টিকবো না। গানও তো ক্লিয়ার না। :3 :3 "
হেডফোন কেনার সময় তিনি আইডিবির সিড়ির নিচে দাঁড়ায় নারী অবলোকন করিতেছিলেন। আমি হতভম্ব হয়ে বললাম "কেনার আগে বললি না কেন?"
মহাশয় তার উত্তর না দিয়া বলিলেন "দেখছিস আইডিবির নারীরা বসুন্ধরার নারীদের চেয়ে কত সুশ্রী। ওইটারে দেখ। "
আমি মুখ কালো করে আমার হেডফোনের প্যাকেটের দিকে তাকালাম। এত্তগুলা টাকা কি তবে বুড়িগঙ্গার কালো জলে তলিয়ে গেল! :-(
তারপর কেটে গেল দু তিন মাস । গ্রামের বাসায় থাকি এরমাঝে। হেডফোন কানে লাগিয়ে রাস্তায় হাঁটলে যেন মাটিতে আর পা পড়ে না। কানে ব্লুটুথ হেডফুন,বাপরে বাপ, ভাবই আলাদা। যত্নের সাথে ইউজ করছিলাম বলে মনে হয় কিছু হয় নি ততদিনে। ভালই চলছিল। এরপর সেটাকে নিয়ে ঢাকায় এলাম। ব্যাগখুলে দেখি দু টুকরো হয়ে আছে আমার সাধের ভাবওয়ালা হেডফোন। :-( :-(
এবার খালিদ ভাইয়ের কাছে তার হেডফোন ধার নিলাম। খালিদ ভাইকে বিশাল হৃদয়ের মানুষ ভেবেছিলাম। মাথা থেকে পা, পুরোটাই হৃদয়। তার দয়ার শরীর। বিনা দ্বিধায় কেমন হেডফোন দিয়ে দিলেন।
উহু।ওসব কিচ্ছু না। শুনলাম উক্ত হেডফোন সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির থেকে তিনি উল্টো ধার নিয়ে বসে আছেন।ধারের জিনিস ধার দেয়ার মজাই মনে হয় আলাদা। সেই মজাটা তিনি নিয়ে মিটিমিটি হাসলেন। আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি তারপরদিন এসে আমার থেকে নিয়ে গেলেন সেটা।
আমি আবার একা হয়ে গেলাম। হেডফোন ছাড়াই লাউডস্পিকারে দিন চলতে লাগল।
রাতে অার ঠিকমত ঘুম আসে না। পড়া হয় না।
না, না, আমার না। আমার রুমমেট বড় ভাইয়ের। তার সামনে বিসিএস পরীক্ষা ছিল। :-(
এসব দেখে অবশেষে বিল্পবী সিদ্ধান্ত নিলাম। নাহ, এ জীবনে আরেকবার হেডফোন কিনতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল চারটায় ভাল মনে বের হলাম আমি আর তমাল ভাই (আরেকজন বড় ভাই)। নিউমার্কেট, এলিফেন্টরোডের মার্কেট সব তছনস করে তিনি আমার হাতে তার একটা শার্টের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে হাপাতে হাপাতে বললেন "আজ যথেষ্ঠ কেনাকাটা হয়েছে। একটা ফুলপ্যান্ট কিনবো ভাবছিলাম।কিন্তু সময় নাই আর। চলো চলে যাই। "
হেডফোন কেনা বুঝি আর হয় না।
তখন বাজে সন্ধ্যে ছয়টা। আইডিবি বন্ধ হয় আটটার সময়। যেতে যেতে ঢাকার জ্যামে সাতটা পেরিয়ে যাবে। তবু আমার মনে তখনও হেডফোন কেনার সুপ্তবাসনা। তমাল ভাইকে বিদায় দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুককে ফোন দিলাম। এবার কিনবো তো কিনবোই তার সামনে কিনবো।
এবং রওনা দিয়ে বাস লেগুনা কোন কিছু না পেয়ে, অর্ধেক হেঁটে, অর্ধেক রিকশায় IDB ভবনে পৌছুলাম রাত পৌনে আটটায়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক যথারীতি চলমান সিড়ির নিচে দাঁড়াতে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার তাকে সে সুযোগ না দিয়ে তাকে নিয়ে হেডফোন খুজতে লাগলাম। দোকানগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটা বন্ধই হয়ে গেছে। এই বুঝি আর কেনা হয় না।
কিন্তু না, অর্ধেক ঝাপ ফেলানো একটা প্রায় বন্ধ দোকান থেকে অবশেষে হেডফোন কিনলাম। আমার হেডফোন! নিজের হেডফোন! পাইলাম, আমি যেন অবশেষে উহাকে পাইলাম।
অতঃপর বাসায় এসে আবেগে পড়ে আপনাদের মাঝে ঘোষনাই দিয়ে ফেললাম "নুতুন হেডফুন কিনসি..."।
এবার বুঝলেনতো হেডফোন কেনার পেছনে আমার ইতো আবেগ ক্যান!!!
[ফুটনোট-
মাস খানেক আগে বন্ধু নির্ঝরকে আমার প্রদেয় ইয়ারফোনের কথা জানতে চাইলাম।
তিনি বললেন "ঠিক কোন ইয়ারফোনের কথা বলছিস বলত!!!?"
:-( :-( :-( ]
Comments
Post a Comment